শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ল্যাবএইডে ক্যান্সারের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কিত বিশেষ সভা 

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৯
ছবি-যাযাদি

ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কিত বিশেষ সভা।

ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ের উপর বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২:৩০ মিনিটে হাসপাতালের নিজস্ব ভবনে বিশেষ এই স্বাস্থ্য সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের বর্তমান চিত্র ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার সম্পর্কিত বিশেষ আলোচনা করেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অবস্টিক এন্ড গাইনোকোলজী রিপ্রোডাক্টিভ বায়োলজীর অধ্যাপক ডা. অ্যানিক্যাথ্রিন গুডম্যান, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি এন্ড অ্যাডভাইজর সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.পারভীন আক্তার বানু, গাইনী অনকোলজী বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন, অধ্যাপক. ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অধ্যাপক ডাক্তার সাহানা পারভীন, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি ও রেডিয়েশন বিভাগের বিগ্রে. জেনা. (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউসূফ আলী, অধ্যাপক ডা. মো. এহতেশামুল হক, অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসাইন এবং অধ্যাপক ডা.বিশ্বজিৎ ভৌমিক।

অনুষ্ঠানে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার প্রসঙ্গে নানা তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। জানানো হয় নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। যেটি স্ত্রীরোগ ঘটিত ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে পরিণত হয়। জরায়ুর আস্তরণ গঠনকারী কোষের স্তরে শুরু হয় এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। যেটি জরায়ুর বডি/উপরিভাগের ক্যান্সার নামেও পরিচিত। এতদিন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নারীদের প্রজনন অঙ্গের ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৬৭৮৮০ জন মানুষ এই ক্যান্সারে শনাক্ত হতে পারেন যারমধ্যে মৃত্যু হতে পারে ১৩২৫০ জনের। যদিও এই অনুমান ভিত্তিক সংখ্যার মধ্যে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার এবং জরায়ু সারকোমা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে ২০০০ সাল এর মাঝামাঝি থেকে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭ ভাগ বেড়েছে।

এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে জানা যায় যে এন্ডোমেট্রিয়ামের কোষের ডিএনএতে পরিবর্তন বা মিউটেশন তৈরি করার জন্য কিছু ঘটে। এই মিউটেশনগুলি স্বাভাবিক, সুস্থ কোষগুলিকে অস্বাভাবিকগুলিতে পরিণত করতে পারে। সুস্থ কোষ একটি নির্দিষ্ট হারে বৃদ্ধি পায় এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট সময়ে মারা যায়। অস্বাভাবিক কোষগুলি বৃদ্ধি পায় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে বৃদ্ধি পায় এবং তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে মারা যায় না। এই জমে থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলি একটি ভর বা টিউমার তৈরি করতে পারে। এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার প্রধানত মেনোপজ পরবর্তী নারীদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের গড় বয়স ৬০।

এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায় এমন বিষয়গুলো হলো: মাসিকের বেশি বছর- অল্প বয়সে মাসিক শুরু হওয়া বা পরে মেনোপজ শুরু হওয়া, স্থুলতা, বেশি বয়স, কখনও গর্ভবতী না হওয়া, হরমোন থেরাপি, বংশগত এরকম নানা কারণ।

বর্তমানে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসায় মলিকুলার ক্লাসিফিকেশনের গুরুত্ব অনেকখানি যার উপর ভিত্তি করে সার্জারী পরবর্তী অ্যাডজুভেন্ট থেরাপি প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সুবিধা হয়। এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার আধুনিক চিকিৎসায় মলিকুলার ক্লাসিফিকেশনের সকল সুবিধা ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে রয়েছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে