শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

এবার দম্পতিকে সন্তান এনে দিল এআই! 

যাযাদি ডেস্ক
  ০৪ জুলাই ২০২৫, ২১:০৩
এবার দম্পতিকে সন্তান এনে দিল এআই! 
এআই। ছবি: সংগৃহীত

কী না করছে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)! এবার এক নারীকে সন্তান ধারণে সহায়তা করেছে এই প্রযুক্তি। এই ঘটনা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতোই। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকা।

জানা যায়, সন্তানধারণের জন্য সব রকম চেষ্টা করেছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু সফল হননি। চেষ্টা চলছিল গত ১৮ বছর ধরে। শেষে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফাইর্টিলাইজেশন) পদ্ধতিরও শরণাপন্ন হন। কিন্তু তা-ও ব্যর্থ হয়।

চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো দিনই মা-বাবা হতে পারবেন না তারা। কারণ বন্ধ্যাত্ব রয়েছে দু’জনেরই। পুরুষ সঙ্গীর শুক্রাণুর সংখ্যা এত কম যে আইভিএফও ঠিকমতো কার্যকরী হবে না। এত রকম বাধা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত অসাধ্য সাধন হয়েছে। সন্তান এসেছে দম্পতির কোলজুড়ে। আর সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রোগের কারণ নির্ণয় থেকে ওষুধ তৈরি— যে কোনো জটিল থেকে জটিলতর কাজই করে ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। হালফিলের রোবটিক সার্জারিতেও ভরসা এআই।

আর এখন দেখা যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি প্রযুক্তি, আইভিএফেও বড় ভূমিকা নিতে পারে।

প্রাকৃতিক বা জৈবিক উপায়ে যারা সন্তান লাভ করতে পারছেন না, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান তাদের জন্য বিকল্প বন্দোবস্ত করেছে। পদ্ধতিটাই শুধু আলাদা।

আইভিএফ বা নলজাত সন্তান আর পাঁচটা স্বাভাবিক শিশুর মতোই হবে। ভিট্রো কথাটির অর্থ শরীরের বাইরে। এই পদ্ধতিতে শরীরের বাইরে জীবন সৃষ্টি করা হয় বলে পদ্ধতিটিকে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন বলে।

চলতি কথায়, 'টেস্ট টিউব বেবি'। মায়ের শরীর থেকে ডিম্বাণু ও বাবার শুক্রাণুর নিষেক ঘটানো হয় শরীরের বাইরে। ভ্রূণ তৈরি করে তা প্রতিস্থাপন করা হয় মায়ের গর্ভে। ওভারিতে সিস্ট, ফ্যালোপিয়ান টিউবে ব্লক, এন্ডোমেট্রিয়োসিস বা পলিসিস্টিক ওভারি থাকলে এবং স্বাভাবিক ভাবে মা হতে না পারলে তখন আইভিএফ করা হয়।

এই পদ্ধতিতে সাফল্যের হার যেমন বেশি, তেমনই ব্যর্থও হন অনেকে। ওই দম্পতির ক্ষেত্রেও তা-ই হয়। কারণ চিকিৎসকেরা জানান, পুরুষ সঙ্গীর অ্যাজাস্পার্মিয়া আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে