সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যা ইস্যুতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে জার্মানির একটি আদালতে সোমবার মামলাটি করা হয়েছে।
আরএসএফ জানিয়েছে, শুধু যুবরাজই নয়, জামাল খাশোগজি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রিয়াদের আরও চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০১৭ সালে সৌদি যুবরাজ হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এর পর থেকে রিয়াদের বিভিন্ন নীতিমালার কট্টর সমালোচকে পরিণত হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামলেখক জামাল খাশোগজি। যদিও এক সময় সৌদি রাজপরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় খাশোগজিকে। খোঁজ মেলেনি তার মরদেহেরও। এ ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নিয়মিত শিরোনামে পরিণত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশ্বজুড়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয় তার ভাবমূর্তি।
আরএসএফ জানিয়েছে, মামলায় জার্মানির আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের দাবি জানানো হয়েছে। এতে খাশোগজি ছাড়াও সৌদি আরবের আরও অনেক সাংবাদিককে নিপীড়নের ঘটনায় অভিযোগও আনা হয়েছে।
আরএসএফ মহাপরিচালক ক্রিস্তোফে দেল্যর বলেন, ‘মানবাধিকারবিরোধী অপরাধের প্রশ্নে কেউই আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না।’
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজে খাশোগজি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও এ অভিযোগে সৌদি যুবরাজের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটির নিন্দা জানিয়ে সৌদি সরকার বলেছে, খাশোগজি হত্যায় যুবরাজের কোনো ভূমিকা ছিল না।
কিন্তু সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং তাদের আক্রমণে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা থাকার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের দাবি করেছে আরএসএফ। জার্মানির কার্লস্রুহের কেন্দ্রীয় বিচার আদালতে এসব প্রমাণ জমা দেয়ার কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সৌদি আরবে ৩৪ সাংবাদিককে কারাবন্দি রাখার যাবতীয় মামলার বিস্তারিত উল্লেখ করেছে আরএসএফ। আটককৃতদের মধ্যে অন্যতম ব্লগার রাইফ বাদাউই। ২০১২ সালে ইসলামের অবমাননার অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যাযাদি/এস
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd