নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যে জঙ্গি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।রোববার রাজ্যটির রান শহরের কাছে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সোমবার ফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ক্যামেরুনের সীমান্তবর্তী রাজ্য বোর্নো ২০০৯ সাল থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের কেন্দ্র হয়ে আছে।
জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, জঙ্গি গোষ্ঠীটির হামলা ও পরবর্তী মানবিক সংকটে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বোকো হারাম ভেঙ্গে এর দলছুট অংশ ‘ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স’ নামে আত্মপ্রকাশ করে পশ্চিমা আফ্রিকার দেশগুলোতে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করতে শুরু করে।
তবে স্থানীয়রা সর্বশেষ এই হামলার জন্য বোকো হারামকেই দায়ী করেছে। রয়টার্সের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওনেইমা নুচুকউকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।
স্থানীয় কৃষক হারুন টোম বলেছেন, “যাদের মেরেছে তারা ক্ষেতে কাজ করছিল। সবাই নিরীহ লোক। আজ রানে আমরা ৫০ জনকে কবর দিয়েছি। বর্ষা ঋতুর আগে তারা তাদের ক্ষেত পরিষ্কার করছিল আর অন্যরা লাকড়ি আনতে গিয়েছিল।”
অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের একটি শিবির থেকে সম্প্রতি রানে ফিরে আসা আরেক কৃষক আগিদ মুহাম্মদ বলেন, “আমাদের লোকেরা তাদের কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বোকো হারামের বহু সদস্য মোটরসাইকেল যোগে সেখানে আসে, তাদের হাতে বন্দুক ও চাপাতি ছিল। তারা সেখানে থাকা সবাইকে ঘেরাও করে জিম্মি করে, তারপর প্রত্যেককে হত্যা করে।” তার এক চাচা এখনও নিখোঁজ বলে জানিয়েছেন তিনি।
“তারা সবাইকে দড়ি দিয়ে বাঁধে, তারপর জবাই করে। এইযে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি, এখনও অনেক লোক নিখোঁজ আছেন,” রয়টার্সের প্রতিনিধিকে বলেছেন তিনি।
যাযাদি/এসএইচ
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd