শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সমগ্র ভারতে আগুন জ্বলবে : কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬
ফাইল ছবি

এ ধরনের চিঠি ভারত সরকার এর আগে বহুবার পেয়েছে। কিন্তু চিঠির সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল কখন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দিন দিন মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছে। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি, আসাম, ত্রিপুরা ও জুম্ম-কাশ্মীরের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

জানা যায়, পশ্চিমবাংলায় এনআরসি হলে এবং সেটার ফলে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হলে এই অঙ্গরাজ্যে তথা সমগ্র ভারত জ্বলবে। আপনাদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেয়া হবে। কেউ বাঁচাতে পারবে না। সোমবার (৮ এপ্রিল) জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা নাম করে স্পিড পোস্টে এমন হুমকির চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায় প্রভাবিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। গোটা ভারতের নিরিখে এই সম্প্রদায়ের ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। ভারতে এনআরসি লাগু হাওয়ার ক্ষেত্রে মতুয়ার অন্যতম ভূমিকা রয়েছে।

এই নেতার দাবি করেন, চিঠিতে তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। গোটা বিষয় সম্পর্কে ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। লস্করের চিঠি পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শান্তনু। চিঠিটি তিনি বিস্তারিত পড়ে শোনান। তার বয়ান অনুযায়ী জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা থেকে নজরুল ইসলাম মাহের আলি, ফাজের আলি বলে কেউ নিজেদের লস্করের জঙ্গি দাবি করে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের দুরবস্থার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুলিশমন্ত্রী। অথচ তার রাজ্যেই একজন সাবেক বিধায়ককে জঙ্গিরা হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন।

এই বিষয়ে যাতে সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন শান্তনু। শুধু তিনিই নন, ওই দিন সকাল থেকেই কলকাতার ২০০ স্কুলে দেখা দেয় বোমা আতঙ্ক! গত রোববার রাত ১২টা বেজে ২৪ মিনিটে স্কুলগুলোর আইডিতে ই-মেইল আসে চিং ও ডল নামে দুই জঙ্গির তরফে।

সেদিন সাপ্তাহিক ছুটির পর স্কুল খুলতেই মেইলগুলো দেখতে পায় স্কুলগুলোর প্রশাসন। মেইলে জানানো হয়, স্কুলগুলোর ক্লাসরুমে বোমা রাখা রয়েছে। টাইমার সেট করা রয়েছে সকালের, যখন বাচ্চারা স্কুলে থাকবে। তাতে আরও জানানো হয়, এর উদ্দেশ্য যত বেশি সংখ্যক সম্ভব মানুষকে রক্তস্নান করানো। এরপরই মেইলকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে প্রবল উত্তেজনা।

স্কুলগুলোর তরফে যোগাযোগ করা হয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার লাল বাজারে। একাধিক স্কুলে পাঠানো হয় বোম্ব স্কোয়াড। কিন্তু মেলেনি কিছুই।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে