মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান মুখপাত্র, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ ইস্যু

যাযাদি যেস্ক
  ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার নিয়মিত সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন। ছবি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউটিউব চ্যানেল 

বাংলাদেশে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জন ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। এতে অনেকে অংশ নিচ্ছেন। লাখ লাখ মানুষ লাইক দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এই বির্তকে জড়িয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘শক্তিশালী ও গভীর’ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘দৃঢ় ও বহুমুখী’ বলে বর্ণনা করেছে দেশটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নিয়মিত সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ‘ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন’ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তবে এই আহ্বানে বাংলাদেশে ভারতের পন্য আমদানিতে টান পড়েছে কিনা সংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

ব্রিফিংয়ে অর্থনীতি, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, যোগাযোগ ও জনগণের মধ্যে বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের বিস্তৃত পরিসর উল্লেখ করে ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের অনেক ক্ষেত্র তুলে ধরেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে যেকোনো মানবিক প্রচেষ্টার নাম নিতে পারেন, যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

অংশীদারিত্বের গতিশীলতার ওপর আরও জোর দিয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘এতেই বোঝা যায় যে অংশীদারিত্ব কতটা প্রাণবন্ত এবং এটি অব্যাহত থাকবে।’

গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলে আসছেন।

এ নিয়ে প্রতিদিনই শত শত পোস্ট আসছে ফেইসবুকে। এর মধ্যে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দলের সমর্থন জানিয়ে তার গায়ে থাকা কাশ্মীরি শাল আগুন ছুড়ে ফেলেন।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা পরে দাবি করেন, এ বিষয়ে দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, স্থায়ী কমিটিতে আলোচনাও হয়নি। রিজভী এই কাজ করবেন, সেটাও জানা ছিল না তাদের।

তবে পরে নয়া পল্টনে বিএনপির আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ব্যানার দেখা যায়।

বিএনপির এসব কর্মসূচির সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে ফেলেন, তাহলেই তাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়টি ‘বিশ্বাসযোগ্য হবে’।

২৭ মার্চ এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়াল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত।”

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে