সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এনসিপি কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় যায়নি 

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ
যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ মে ২০২৫, ২০:৪৫
আপডেট  : ৩১ মে ২০২৫, ২০:৫২
এনসিপি কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় যায়নি 
ফাইল ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পর্দার অন্তরালে বিএনপির সঙ্গে একটা ‘সিট নেগোসিয়েশনের (আসন সমঝোতা)’ আলোচনা করেছে, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

আজ শনিবার (৩১ মে) বেলা দেড়টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ প্রতিক্রিয়া জানান।

1

হাসনাত আবদুল্লাহ মজিবুর রহমানের দাবিকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে পোস্টে বলেন, ‘কোনো দলের সঙ্গেই এনসিপি আসন ভাগাভাগির কোনো আলোচনায় যায়নি। কাজেই সম্মানিত ওই রাজনীতিবিদের বক্তব্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।’

গতকাল শুক্রবার রাতে ইউটিউবভিত্তিক টক শো অনুষ্ঠান ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’–এ অংশ নিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এনসিপি কিন্তু পর্দার অন্তরালে বিএনপির সঙ্গে একটা সিট নেগোসিয়েশনের আলোচনা করেছে।...আমরা হাইপোথিটিক্যালি ধরলাম, কালকে পর্দার অন্তরালে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেল, সিট ভাগাভাগি হয়ে গেল, তাহলে দেখবেন সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের জন্য সবাই একমত হয়ে যাবে।’

এবি পার্টির শীর্ষ নেতার ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমরা উল্লিখিত রাজনীতিবিদের প্রতি আমাদের সম্মান ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বলতে চাই, বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সমঝোতার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

তিনি লিখেছেন, ‘কোনো দলের সঙ্গেই এনসিপি আসন ভাগাভাগিজনিত কোনো আলোচনায় যায়নি। কাজেই সম্মানিত ওই রাজনীতিবিদের বক্তব্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। দল হিসেবে এনসিপি সারা দেশে সাংগঠনিক বিস্তৃতিকে প্রধান লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাচ্ছে।’

পোস্টে দল গোছানোর স্বার্থে এনসিপি নির্বাচন পেছাতে চায়, গতকালের ওই টক শোসহ বিভিন্ন আলোচনায় এনসিপি সম্পর্কে এমন একটি ভিত্তিহীন ইম্প্রেশন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন এনসিপি নেতা হাসনাত৷

তিনি লিখেছেন, ‘আত্মপ্রকাশের পর থেকেই এনসিপি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে আসছে। এনসিপি মনে করে, প্রশাসনিক সংস্কারসহ অন্যান্য মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে সংস্কার ব্যতীত আয়োজিত নির্বাচন একচেটিয়া ও একপেশে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জুলাই সনদের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠু গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক প্রতিশ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।’

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘যেনতেন ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন যেন স্রেফ ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি না হয়, বরং মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে অর্থবহ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটুক, এনসিপি সেই প্রত্যাশা করে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বিভ্রান্তি এড়িয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রশ্নে এনসিপি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায়।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে