আন্তর্জাতিক

ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। চরম বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভারতের আসাম, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)।

গতকাল বুধবার ( ২৮ মে) জারি করা সতর্কবার্তায় এসব অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকবে।

বুধবার প্রকাশিত আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী দুই-তিন দিন এই অঞ্চলের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে, যা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি করে বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলতে পারে।

IMD’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৯ মে থেকে আসামের ধুবরি, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, বরপেটা, বোঙ্গাইগাঁও, পশ্চিম কার্বি আংলং ও শ্রীভূমি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে, যা ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।

মিজোরামে প্রভাবে ২৯ মে থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে জনদের হটলাইন (১০৭৭, ১০৭০, ১১২) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারও সব জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশে এই পরিস্থিতির প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে। উত্তরে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীগুলো ভারত থেকে অতিরিক্ত পানি নিয়ে প্রবেশ করে, যা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও শেরপুরসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যার কারণ হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, উজানে অতিবৃষ্টি হলে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই তারা বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে সতর্ক করছে।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বর্ষণের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং জুনের শুরুতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রথম দফা বন্যা দেখা দিতে পারে।