শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস-তুরস্ক ফোনালাপ

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ মে ২০২৫, ১৪:২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস-তুরস্ক ফোনালাপ
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলাপ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন তুর্কি কূটনীতিবিদ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি অর্জনের সর্বশেষ চুক্তি নিয়ে হামাসের রাজনৈতিক শাখার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ফোনে আলাপ করেছেন ফিদান। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

1

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, গাজা ও সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কাতারি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরাহমান আল থানির সঙ্গেও ফোনালাপ করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে কোনও ফোনালাপের বিস্তারিত জানাননি ওই কর্মকর্তা।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়, বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। তেল আবিব তাতে স্বাক্ষর করার পর প্রস্তাবটি হামাসের কাছে পেশ করা হয়। এখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে ওয়াশিংটন।

এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের মৌলিক দাবির প্রতিফলন ঘটেনি। তবে প্রস্তাবগুলো তারা এখনও যাচাই করে দেখছে।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে স্বাক্ষরের বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বিবিসির দাবি, বৃহস্পতিবার জিম্মিদের পরিবারের কাছে মার্কিন প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়ার কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ১০ জন জিম্মি এবং ১৮ জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করবে হামাস। বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পাশাপাশি ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ১২৫ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে তেল আবিব।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার কথা বলে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।

গত জানুয়ারির ১৯ তারিখ দু পক্ষের মধ্যে একটা সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলেও মার্চে তা ভেঙে পড়ে। এরপর থেকেই আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পূর্বশর্ত নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে চরম মতবিরোধ চলছে।

ইসরায়েলের দাবি, শাসক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে হবে এবং অবশিষ্ট সব জিম্মিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এগুলো পূরণ হলেই কেবল যুদ্ধাবসানের বিষয়ে আলোচনায় যাবে তারা।

ইসরায়েলের দাবির বিরোধিতা করে হামাস বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের পুরোপুরি সমাপ্তি ছাড়া কোনও শর্ত তারা মানবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে