এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ০.৩% হারে সংকুচিত হয়েছে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক পতন। বিশ্লেষকরা যেখানে ০.১% সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, বাস্তব সংকোচন তা ছাপিয়ে গেছে।
দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ইস্যুটি তুলে ধরা হয়েছে। তাদের ভাষ্য পানি, বিদ্যুৎ, ও কাউন্সিল ট্যাক্সের হার বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের খরচ বেড়েছে।
এছাড়া মার্কিন শুল্কের প্রভাব এপ্রিলের অর্থনীতিতে বড় পতনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি এপ্রিল মাসে £২ বিলিয়ন কমেছে। বিশেষ করে, গাড়ি রপ্তানিতে ২৫% শুল্ক বসানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস একে "স্পষ্টতই হতাশাজনক" বলেও স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, "বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে কেউই চারটি বাজেট আগেভাগে ঘোষণা করতে পারে না।"
এদিকে, বিরোধীদলগুলি রিভসের আগের সিদ্ধান্ত, যেমন নিয়োগকর্তার কর বৃদ্ধি, একে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা হিসেবে দেখছে।
ব্যবসায়ীদের অভিমত, নিউক্যাসলে ১৭টি হসপিটালিটি ব্যবসার মালিক ওলি ভলকার্ড জানান, “প্রতিটি কর বা খরচ আলাদা করে সামলানো গেলেও সব একসঙ্গে হওয়ায় আমাদের মূল্য বাড়াতে বাধ্য হতে হচ্ছে।”
অর্থনীতিবিদদের অভিমত, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি বর্তমানে এক চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। বর্ধিত কর ও বৈদেশিক বাণিজ্য বাধার মধ্যে ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ—দু'পক্ষই চাপে। আগামী বাজেটে সরকার নতুন কর নীতির ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি আরও বদলাতে পারে।
সূত্র: বিবিসি