সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

যে কারণে বারবার বেঁচে যান বিধ্বস্ত বিমানের ১১/এ সিটের যাত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ জুন ২০২৫, ১৬:০৩
আপডেট  : ১৬ জুন ২০২৫, ১৬:১৮
যে কারণে বারবার বেঁচে যান বিধ্বস্ত বিমানের ১১/এ সিটের যাত্রী
ছবি: সংগৃহীত

দুটি ভিন্ন সময়ের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। একটি ১৯৯৮ সালে, অন্যটি এই তো সেদিন—২০২৫ সালের জুন। তবে এই দুই ট্র্যাজেডির মাঝখানে এক অলৌকিক মিল যেন বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। দুই ঘটনায়ই একমাত্র বেঁচে যান মাত্র একজন—দুজনই বসেছিলেন বিমানের একই আসনে, ১১এ।

সাম্প্রতিক এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171 দুর্ঘটনায় ২৪২ জনের মধ্যে কেবল একমাত্র জীবিত ছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ, যিনি বিমানে ছিলেন সিট নম্বর ১১এ-তে। আর অবাক করা ব্যাপার হলো—১৯৯৮ সালে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট TG261-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় থাই অভিনেতা-গায়ক রুয়াংসাক লয়চুসাক—তাঁর আসনও ছিল ১১এ।

1

এই বিস্ময়কর মিল প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা ঝড়। কেউ বলছেন ‘এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান সিট’, কেউ আবার একে আখ্যা দিচ্ছেন ‘মিরাকল সিট ১১এ’ হিসেবে।

ফিরে দেখা ১৯৯৮ সালের বিমান দুর্ঘটনা

থাইল্যান্ডের রুয়াংসাক ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর যে ফ্লাইটে ছিলেন, সেটি অবতরণের সময় দক্ষিণ থাইল্যান্ডে বিধ্বস্ত হয়। ১৪৬ যাত্রীর মধ্যে ১০১ জনের মৃত্যু হয়। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ২০ বছর বয়সী রুয়াংসাক—ঠিক ১১এ সিটেই বসা অবস্থায়।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে AI-171 দুর্ঘটনায় ১১এ-তে থাকা যাত্রীর বেঁচে ফেরার খবর দেখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন তিনি। ফেসবুকে থাই ভাষায় তিনি লেখেন, ‘ভারতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার জীবিত ব্যক্তি আমার মতোই ১১এ-তে বসেছিলেন। কাকতালীয় হলেও বিস্ময়কর।’

আহমেদাবাদ দুর্ঘটনা

এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 ফ্লাইটটি ভারতের আহমেদাবাদ থেকে উড়াল দেয় লন্ডনের উদ্দেশ্যে। আকাশে উঠেই ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটি আচমকা নিচে নেমে আসে এবং একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের পাশে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।

বিশ্বাস কুমার রমেশ, যিনি সেই ফ্লাইটের ১১এ সিটে ছিলেন, বিস্ফোরণের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। পরে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "মনে হচ্ছিল আমার আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু চোখ খোলার পর বুঝতে পারি আমি এখনো বেঁচে আছি।"

‘১১/এ’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

এই মিল সামনে আসতেই অনেকেই এখন বলছেন—যে সিটটি এতদিন এড়িয়ে চলতেন যাত্রীরা, এখন অনেকে ইচ্ছা করেই ১১এ সিটটি খুঁজে নিচ্ছেন টিকিট কাটার সময়।

অনেকের মতে, “এটা নিছক কাকতাল নয়, হয়তো সত্যিই কোনো রহস্য আছে এই আসনের সঙ্গে।”

এই ঘটনা যেন প্রমাণ করে, কখনও কখনও বাস্তব ঘটনাও কল্পনার চেয়েও বেশি বিস্ময়কর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে