গণফোরামের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নিজবাড়ি কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা নামাজ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরআগে গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোস্তফা মোহসীন মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তিনি ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি চার মেয়ে, এক ছেলে, নাতিনাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রওশন ইয়াজদানী বলেন, মোস্তফা মোহসীন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গত রবিবার বিকেলে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন সম্মুখসারির বীর সেনানী। মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে তিনি অসামান্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সাহসিকতা ও সংগঠক হিসেবে ভূমিকা আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে। তাঁর এই অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জানাজা নামাজে ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, গণফোরণের সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ নাজিম উদ্দীন, কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।