ইসরাইলের তেল আবিব শহরের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তেল আবিবের নাগরিকদের অবিলম্বে এলাকা ছাড়তে হবে। আল-জাজিরার খবরে এ কথা বলা হয়।
এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি বড় এলাকার বাসিন্দাদের ‘অবিলম্বে সরে যেতে’ সতর্ক করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে বলেন, আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এ এলাকায় অভিযান চালাব, যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এ অভিযান চালানো হবে।
এদিকে সোমবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। কিছুক্ষণ আগে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংক্ষেপে প্রচারিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বর্তমানে ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। হামলার বিস্তারিত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এ হামলার কিছুক্ষণ আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ।
কাৎজের বিবৃতির বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়, ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’।
এর আগে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহের একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলায় হাসপাতালটির একাংশের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে কয়েকজন রোগী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে।
ইরানের ফারস ও তাসনিম সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত একাধিক ভিডিওর বরাত দিয়ে সিএনএন বলেছে, হামলায় কেরমানশাহে ফারাবি হাসপাতালের একটি অংশের ছাদ ধসে পড়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভিডিওচিত্র যাচাই করেছে সিএনএন।
তেহরানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ অভিযোগ করেন, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, বাঘাই বলেন, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ। ইতিহাস বিচার করবে; এই (ইসরাইল) শাসনের মিত্র ও পক্ষ অবলম্বনকারীদের জন্য চিরস্থায়ী লজ্জা অপেক্ষা করছে।