মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের অবস্থানকে ‘দ্বিচারিতা’ হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। একদিকে ইরানের হাতে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই-এমন স্বীকৃত বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও, পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানকেই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে চলেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল—যেটিই মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র—তার বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন তোলা হয় না। বরং গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার মধ্যেও পশ্চিমা মিত্ররা তেলআবিবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বিমুখী নীতিই মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতাকে আরও উসকে দিচ্ছে। এমনকি, ইরানের ভেতরেও এখন অনেকেই যুক্তি দিচ্ছেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র না থাকায় তারা বারবার আগ্রাসনের শিকার হচ্ছেন—তাই প্রতিরক্ষা ও আত্মরক্ষার স্বার্থে পরমাণু অস্ত্রই হতে পারে একমাত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা।
ইরান বারবার দাবি করে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। তবে পশ্চিমা দেশের দীর্ঘদিনের চাপ, নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি সেই অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
অনেকে বলছেন, যদি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণই লক্ষ্য হয়, তবে সেটা ইরান নয়, বরং পুরো অঞ্চলজুড়ে সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে। নয়তো, এই বৈষম্যমূলক আচরণ ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।