শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে বিভাজনে ফেলা হয়েছিল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  ২১ জুন ২০২৫, ১৬:৩০
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে বিভাজনে ফেলা হয়েছিল
ঝিনাইদহে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৪০ জন সাংবাদিককে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম: ছবি যায়যায়দিন

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ সবার উপরে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করে জাতিকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে বিভাজনে ফেলা হয়েছিল।’

বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম শনিবার (২১ জুন) সকালে ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজে ‘গণমাধ্যমের অপসাংবাদিকতা ও ইহার প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আইন ওইসব ব্যক্তিকে সহায়তা করে না, যারা অধিকার সম্পর্কে অসচেতন। প্রেস কাউন্সিল মর্যাদাশীল ব্যক্তিকে বিচার করে বলে তারা শাস্তি দিতে পারে না, কেবল ভর্তসনা করে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. আব্দুস সবুর, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ,

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুর রউফ, ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আসিফ কাজল, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম লিটন,

দৈনিক ইত্তেফাকের বিমল কুমার সাহা, এটিএন বাংলার নিজাম জোয়ারদার বাবলু ও দৈনিক যুগান্তরের মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, পেশাদারদের কোন দল বা বিভেদ থাকতে পারে না। সাংবাদিকদের এই বিভাজন জাতিকে বিভ্রান্তের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাই তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।

রাজনীতি অনেক ভালো জিনিস। তার উপর আর কিছুই হয় না। কিন্তু রাজনীতি ও পেশাজীবী আমরা একত্রিত করে ফেলেছি। দেশে একাধিক প্রেসক্লাব কিন্তু এত প্রেস ক্লাব হওয়ার তো কোন কারণ দেখি না।

আমরা নতুন নতুন আইন তৈরি করছি। কিন্তু আমরা আইন মানি না বা আইন পালন করছি না। এক্ষেত্রে আইনের কোন দোষ নেই।

কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব আব্দুস সবুর বলেন, দেশের সাংবাদিকরা একতাবদ্ধ নয়। দলাদলি বা রাজনৈতিক দর্শনের কারণে সাংবাদিকরা বিভক্ত কিন্তু রাজনীতি করা ভালো। বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রাজনীতিবিদরা। জনস্বার্থে কাজ করতে হবে কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে সাংবাদিকতা কুলশিত করবেন না।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন সাংবাদিকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে