ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলেও, কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা রেখেছে ইরান। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান বৈঠকে অংশ নিতে উপস্থিত ইরানি প্রতিনিধি দলের পক্ষে এক বিবৃতিতে দেশটির সরকার মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি এ কথা জানান।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাজেরানি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিপক্ষের কথা শোনা উচিত। এ কারণেই আমাদের কূটনীতিকরা জেনেভায় এসেছেন, যাতে তারা অন্য পক্ষের বক্তব্য শুনতে পারেন।”
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যে কোনো কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হওয়ার পূর্বশর্ত হলো—ইসরায়েলের হামলাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।
তার ভাষায়, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, বিশ্বকে স্বীকার করতে হবে যে একটি সত্যিকারের আগ্রাসী শাসন আমাদের দেশে হামলা চালিয়েছে—আমাদের সামরিক কমান্ডার, শিশু, নারী, বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করে, গভীর রাতে।”
মোহাজেরানি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যেন ইরানিদের প্রতি ‘হুমকির ভাষায়’ কথা না বলে। তিনি বলেন, “যদি তারা কোনো ভুল করে, তবে আমরা নিঃসন্দেহে নিজেদের রক্ষা করব এবং আমাদের যা ন্যায্য অধিকার, তা আদায় করে নেব।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো ভুল করবে না। তবে যদি উত্তেজনা বাড়ে, আমাদের প্রতিক্রিয়াও হবে ঠিক ততটাই শক্তিশালী এবং সমান মাত্রায়।”
জেনেভার এই আলোচনাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। তেহরানের এই অবস্থান বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।