ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করার যে কর্মসূচি মাসের পর মাস ধরে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আদেশের কারণে থমকে ছিল, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সমর্থন দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম হলেই নাগরিকত্ব না দেওয়ার যে নীতি ট্রাম্প প্রশাসন নিয়েছে, আপাতত তারই দ্বার খুলে দিল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়। ট্রাম্প এই রায়কে এক ‘বিশাল জয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার প্রশাসন এখন নাগরিকত্ব নীতির মতো আরও বহুসংখ্যক নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। আমাদের এমন অনেক (নীতি) আছে। আমার গোটা একটি তালিকা আছে”, বলেন ট্রাম্প।
সিএনএন-এর উর্ধবতন আইন বিশ্লেষক বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে মূলত ক্ষমতার ভারসাম্য আদালত থেকে প্রেসিডেন্টের হাতেই গেল।”
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে যারা চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তাদের জন্য সেটি করা এখন আরও দুরুহ হবে বলেই মনে করেন সাবেক রাজ্য ও ফেডারেল কৌসুলি এলি হনিগ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরেই দেশের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ১৫৬ বছরের পুরনো আইন বদলানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। গত ২১ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশও সই করেছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু তার এই উদ্যোগ ধাক্কা খায় আদালতে। ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে অভিবাসীদের সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। পরে আরও মামলা হয়। ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ২২টি প্রদেশ এক হয়ে মামলা করে।
ওয়াশিংটন ফেডারেল আদালত-সহ আরও কয়েকটি রাজ্য আদালতে মামলার শুনানি হয়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের উপর বিচারবিভাগের নিরবিচ্ছিন্ন বাধা থাকতে পারে না।
তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে রায় দিলেও নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ এখনই কার্যকর হতে পারবে না বলেও জানিয়েছে।
এই আদেশ কার্যকরের জন্য এক মাস সময়সীমা দিয়েছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের দেওয়া স্থগিতাদেশগুলো পুনর্বিবেচনার সুযোগ রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।