আকাশপথে যাত্রাকে নিরাপদ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলে সব কৌশলকে ফাঁকি দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গি হয়ে বিমানে চড়ে বসলো দুই ফুট দৈর্ঘ্যের এক সাপ। এ ঘটনায় বিমানে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (০২ জুলাই) সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মেলবোর্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের ওঠার সময়ে বিমানের কার্গো হোল্ডে একটি সাপ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিমানটি প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাপটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার (২ ফুট)। এটি ছিল নিরীহ গ্রিন ট্রি প্রজাতির সাপ। সাপ ধরার বিষয়ে অভিজ্ঞ মার্ক পেলি জানান, অন্ধকার কার্গো হোল্ডে সাপটির কাছে যাওয়ার সময় ধারণা করা হচ্ছিল এটি বিষাক্ত প্রজাতির সাপ হতে পারে। তবে ধরার পর বুঝা যায়, এটি বিষাক্ত নয়। এর আগ পর্যন্ত এটিকে খুবই বিপজ্জনক মনে হচ্ছিল।
এবিসি নিউজ জানিয়েছে, পেলি যখন কার্গো হোল্ডে প্রবেশ করেন তখন এটি প্যানেলের পিছনে অর্ধেক লুকিয়ে ছিল। পেলি বলেন, তিনি বিমানের একজন প্রকৌশলী এবং এয়ারলাইনস কর্মীদের বলেছিলেন, সাপটি যদি প্যানেলের মধ্য দিয়ে হারিয়ে যায় তাহলে বিমানটি খালি করতে হবে। কারণ সাপটির প্রজাতি সম্পর্কে তখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমি তাদের বলেছিলাম প্রথম চেষ্টায় এটি ধরতে না পারলে সাপটি প্যানেলের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে। তখন বিমানটি খালি করতে হবে। কারণ তখনো সাপটির প্রজাতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সৌভাগ্যবশত আমি প্রথম চেষ্টাতেই এটি ধরতে পেরেছি। যদি প্রথমবার ধরতে না পারতাম তাহলে আমরা এবং প্রকৌশলীরা এখনো একটি বোয়িং ৭৩৭-এর অংশ খুলে সাপটির খোঁজ করতাম।
পেলি জানান, তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছাতে ৩০ মিনিট সময় নিয়েছিলেন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার কারণে আরও বিলম্ব হয়েছিল। এয়ারলাইনের একজন কর্মকর্তা জানান, সাপের কারণে ফ্লাইটটি প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছিল।