গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন এই প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখিয়েছে হামাস।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তারা প্রস্তাবিত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসার জন্যও সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এতে জিম্মি মুক্তি ও সংঘাত শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় ২১ মাস ধরে গাজায় যুদ্ধ করছে হামাস-ইসরায়েল। এ যুদ্ধ বন্ধে সবশেষ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ সময় তিনি বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছেন তিনি।
এদিকে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে হামাস জানিয়েছে, গাজায় আমাদের জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা এবং অন্য ফিলিস্তিনি দল ও শক্তির সঙ্গে আলোচনার কাজ শেষ হয়েছে।
আরো বলা হয়, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ মধ্যস্থতাকারীদের আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। একে ইতিবাচক মনোভাব বলাই যায়। প্রস্তাবিত এ চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার নতুন পর্বে অংশ নিতে হামাস সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
তবে এ চুক্তি বাস্তবায়ন উভয় পক্ষের জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জিং। হামাসের মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মানবিক সহায়তা, মিসরের রাফা সীমান্ত পারাপার এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তে সম্মত হয়েছে। এই ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েল ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি এখনো ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।