রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে ডেলিভারিম্যান নাহিদ নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান সিয়ামকে (২১) ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৬ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল আলম জুয়েল সিয়ামকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া, ওই সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগে করা মামলায় নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী মেহেদী হাসান বাপ্পী (২১) ও মোয়াজ্জেম হোসেন সজীবকেও (২৩) ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সিয়ামের রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ছবিতে দেখা গেছে নাহিদ মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর সিয়াম তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছেন।
এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং এ ঘটনায় দায়ী অন্যদের অবস্থান জানতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে আসামিপক্ষ রিমান্ড প্রার্থনা বাতিলসহ জামিন চেয়ে একটি আবেদন জমা দেয়। এর আগে গত বুধবার শরীয়তপুর থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। একই মামলায় ঢাকা কলেজের আরও ৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২ দিনের রিমান্ডের পর তারা এখন কারাগারে আছেন।
গত ১৯ এপ্রিল ওই সংঘর্ষে নাহদ নিহত হওয়ার পরদিন দিবাগত রাতে নাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়। অপরদিকে পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর বাপ্পী ও সজীবের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। রিমান্ড প্রার্থনায় অর্পিত ঠাকুর বলেন, বাপ্পি ও সজীব তাদের সহযোগীদের সঙ্গে গত ১৯ এপ্রিল সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে।
অন্য দোকানের কর্মচারীদের ওপর হামলা করতে তারা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ডেকেছিল। তাই ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া দরকার বলে আবেদনে বলা হয়। বুধবার কক্সবাজার থেকে বাপ্পী ও সজীবকে আটক করা হয়।
যাযাদি/এসএইচ