দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিডব্লিউবি কর্মসূচি) ভিজিডি কার্ড নং ১৩০, উপজেলা পর্যয়ে চুড়ান্ত ভাবে মনোনীত হয়। কার্ডের চুড়ান্ত তালিকায় নাম থাকার পরও গত ৪ মাস যাবত সংশ্লিষ্টি ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্যের কার্যালয়ে শত বার ঘুরেও কোনো চাল ও কার্ড পাইনি। না পেয়ে এক দরিদ্র নারী ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যার বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড ও চাল আত্মসাতের লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবরে।
গত সোমবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্যা আলেফার বিরুদ্ধে ওই দুন্থ নারী তার প্রাপ্য চাল ও কার্ড ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পেয়ে ইউএনও বিপুল কুমার এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর পাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর ইসলামের স্ত্রী সরিফার অভিযোগ, ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কার্ডে তার নাম থাকলেও এ পর্যন্ত এক ছটাক চালও পাইনি। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি আলেফা মেম্বারনীর কাছে যেতে বলেন। মেম্বারনীর কাছে গেলে বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে যান। এভাবে ৪ মাস ধরে নানা তালবাহানা করেছেন। অথচ কার্ড পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদনের পর ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের তথ্য ও অন্যান্য তথ্যসমূহ আমাদের ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত আলেফা মেম্বারনী বিশদভাবে যাচাই-বাছাই করে ইউনিয়ন পরিষদের কমিটি নামের তালিকাভুক্ত করে উপজেলা পাঠিয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পাড়িয়া ইউনিয়নের ভিজিডি সুবিধাভোগীর নাম রয়েছে, তার মধ্যে ওই তালিকায় সরিফা’র নামও রয়েছে। কিন্তু গত ৪ মাস ধরে ওই নারীর চাল না পাওয়ার কথা অভিযোগ পেয়ে জানতে পারলেন।
অভিযোগের বিষয়ে পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি রুবেল বলেন, সরিফার নামে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পাকা বাড়ীর ও অনেক জমরি মালিক মর্মে এ কার্ডটি সে পাচ্ছে না। তার নামে বরাদ্দের চাল কেউ তুলে নিয়েছে কি না, তাও আমার জানা নেই।
জানতে চাইলে ইউএনও বিপুল কুমার বলেন, 'এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগিরিই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাযাদি/ এস