সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

৫টি অভ্যাস জীবন সুস্থ রাখবে

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭
৫টি অভ্যাস জীবন সুস্থ রাখবে
সুস্থ থাকতে নিয়ম মানা।

নিজেকে সুস্থ রাখা কঠিন কিছু নয়। ছোট ছোট সহজ কিছু কাজ নিয়মিত করলেই সুস্থতা অনেকটা নিশ্চিত হয়। নিজেকে ভালো রাখার জন্য ব্যয়বহুল ওষুধের দরকার নেই। যদি নিয়মিত কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চলা যায়। সবকিছু কঠিন করে তোলার বদলে সময় এসেছে মৌলিক বিষয়গুলোতে ফিরে যাওয়ার, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে। জেনে নেই প্রতিদিনের কোন কাজগুলো শরীরকে সুস্থ রাখবে

খাবারের পরে অন্তত ১০ মিনিট হাঁটুন:

খাবারের পরে অন্তত ১০ মিনিট হলেও হাঁটুন। হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমাতে পারে। এই সংক্ষিপ্ত হাঁটাচলা হজমে সহায়তা করে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং বিপাকীয় সুস্থতা বৃদ্ধি করে। এটি কম পরিশ্রমে বড় পুরষ্কার পাওয়ার মতো। সবচেয়ে ব্যস্ত সময়েও আপনি এভাবে ফিট থাকতে পারেন। খাবার খেয়েই কথনই শুয়ে কিংবা বসে পড়বেন না। অন্তত ১০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডকে অগ্রাধিকার দিন:

ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, সার্ডিন), তিসি এবং আখরোটের মতো খাবার খেলে তা ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিজেকে ভালো রাখতে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন।

গভীর ঘুম:

মানসম্মত ঘুম কোনো বিলাসিতা নয়; এটি সুস্বাস্থ্যের একটি পরম ভিত্তি। ঘুমের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং ওজন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে মানসিক অস্থিরতা বাড়ায়। রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পর্যন্ত সবকিছুর সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন গভীর ঘুম জরুরি। ঘুমকে আপনার খাদ্যতালিকা বা ব্যায়ামের মতোই গুরুত্ব সহকারে নিন।

প্লাস্টিক পরিত্যাগ করুন:

প্লাস্টিক পরিত্যাগ করা জরুরি, বিশেষ করে যখন খাবার এবং পানীয় সংরক্ষণের কথা আসে। কারণ প্লাস্টিক থেকে BPA এবং phthalates এর মতো হরমোন-বিঘ্নিত রাসায়নিক নির্গত হয়। ধীরে ধীরে এটি ইনফার্টিলিটি, বিপাকীয় ব্যাঘাত এবং এমনকী ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে। কাঁচ বা স্টেইনলেস-স্টিলের পাত্রের ব্যবহার জীবনে টক্সিক লোড কমানোর একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তামার তৈরী পাত্র ব্যবহার করা যায়।

নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন:

যদিও অনেকে ওজন বা BMI-এর দিকে মনোযোগ দেন, তবে রক্ত পরীক্ষায় আরও গভীর স্বাস্থ্য তথ্য পাওয়া যায়। LDL কোলেস্টেরল, উচ্চ-সংবেদনশীলতা CRP এবং নিয়মিত ইনসুলিনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে তা কার্ডিওভাসকুলার এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের আরও সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো অনেক আগেই সমস্যা সনাক্ত করতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে