বঙ্গোপসাগরের বুকে ভাষাণচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অবিলম্বে স্থগিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি এক বিবৃতিতে ভাষাণচরে এরই মধ্যে যেসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন তাদেরকে পরিবারের কাছে এবং বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডে তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরিয়ে আনতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া শরণার্থীদের যেকোন রকম পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণাঙ্গ ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে সাদ হাম্মাদি আরো লিখেছেন, ভাষাণচরে এত বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পুনর্বাসন করায় নিরপেক্ষ মানবাধিকার বিষয়ক পর্যবেক্ষকদের জন্য মারাত্মক এক উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ, ওই দ্বীপে সবার যোগাযোগের সুযোগ সীমিত। বিশেষ করে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ ও সাংবাদিকদের সেখানে যেতে হলে আগে থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তিনি আরো লিখেছেন, শরণার্থীদের সেখানে পুনর্বাসনের যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে ভাষাণ চরে বসবাসের উপযোগিতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে জাতিসংঘ, অধিকার বিষয়ক গ্রুপ ও মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সিগুলোকে অনুমোদন দিতে হবে বাংলাদেশের । এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যাদেরকে পুনর্বাসন করা হবে তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে এবং তাদের সম্মতি ছাড়া ভাষাণচরে বা অন্য কোথাও পুনর্বাসন পরিকল্পনা করা উচিত নয়।
সাদ হাম্মাদি বলেছেন, ওই চরে অবস্থানকারী কিছু শরণার্থী এরই মধ্যে তাদের উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে। তাদেরকে তাদের পরিবার ও সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষিত করাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণাঙ্গ এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরের বুকে পলিমাটি জমে সৃষ্টি হয়েছে ভাষাণ চর। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এ নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
যাযাদি/এমএস/১২:০৬পিএম
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd