সাতটি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের প্রথম দললের ১৬৪২ জন জাহাজে ওঠার অপেক্ষায় আছে। সাতটি জাহাজে করে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছে।
শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে তারা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০টি বাসে করে এসব রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
রোহিঙ্গাদের রাখা হয় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী 'ট্রান্সজিট ক্যাম্পে'। শুক্রবার সকালে 'ট্রান্সজিট ক্যাম্প থেকে জাহাজে ওঠার অপেক্ষা করছে এসব রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে ছেড়ে আসা এসব বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিয়ে এসেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ এলাকায় দেখা গেছে, তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেওয়ার পথে চট্টগ্রামে প্রয়োজনে রাখা হবে এবং তাদের রাখার বিষয়টি নৌবাহিনী তত্বাবধান করবে এবং নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বৃহস্পতিবার কিছু রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা হয়েছে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা তাদের নিয়ে আসার পথে নিরাপত্তা বিধান করেছি। তাদের যে বেজগুলোতে রাখা হয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট বাহিনী তত্বাবধান করছে।
যাযাদি/ এসএইচ
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd