ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মেয়র (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের) হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল, বাতাস থেকে শুরু করে সব চোর। এ কারণে তিনি যাননি। তাকে মন্ত্রী হওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে তিনি তাতেও রাজি হননি।
রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা–১১ আসনের এই সংসদ সদস্য।
রহমতুল্লাহ বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব (ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) মারা যাওয়ার পরে মেয়র অফার (প্রস্তাব) করেছিলেন। আমি আপারে বললাম, ওখানে যাব না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাব না।”
রহমতুল্লাহ দাবি করেন, এরপর তাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে তিনি সেই সময়ও রাজি হননি।
ঢাকা–১১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, “আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুইটা নামই বলব। একটা হল এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আরেকটা হল এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলে করছে। এটারও টার্নওভার (বার্ষিক লেনদেন) ৫০০ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনও দেনা নাই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি (প্রকাশ্যে) বলব না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলব।”
বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে রহমতুল্লাহ বলেন, তিনি আহলে হাদিসের প্রধান উপদেষ্টা। সারাদেশে এর প্রায় আড়াই কোটি ভোটার আছেন। তার চামড়ার সাপ্লাইয়ার ও তাদের পরিবার মিলিয়ে আছেন প্রায় এক কোটির মতো। ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলা দূরের কথা, তারা আওয়ামী লীগের একটা সিটও নিতে পারবে না।
যাযাদি/ এস