ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের সময় এই পরিবারটিকে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিএনপি সমর্থক হওয়ার কারণেই এই পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে সহ্য করতে হয়েছে মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন। তীর্থ নামের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক যুবককেও এ নির্যাতন থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি।
তীর্থ, যিনি একজন জন্মগত অটিস্টিক, তাকে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে কারাবন্দী করে রাখা হয় প্রায় আড়াই বছর। কারাগারে শারীরিক নির্যাতনের ফলে এই যুবক এখন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তীর্থর দাদা মরহুম আমজাদ হোসেন খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, যিনি পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন।
এই পরিবারের অনেক সদস্য বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় তাদের বাড়িতে বারবার পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। তীর্থর চাচা আফজাল হোসেন খান পলাশ, ছাত্রদল নেতা আদনান খানসহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে জেলেও পাঠানো হয়। তল্লাশির নামে বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করা হয়, এবং তীর্থকে মুক্ত করতে পুলিশের দাবি করা টাকা দিতে না পারায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সম্প্রতি তীর্থ জামিনে মুক্তি পান। তবে এই পরিবারের কাছে ক্ষতিপূরণ এখনো অধরা। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি এই ধরনের নির্যাতনের বিচার এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করে পরিবারটি রাষ্ট্রের কাছে সহানুভূতির প্রত্যাশা করছে।
যাযাদি/ এস