গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৭৪টি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এসব আদেশে প্রায় ১৯২ একর জমি, ২৮টি ভবন, ৩৮টি ফ্ল্যাট ও ১৫টি প্লট জব্দ করা হয়। জব্দের তালিকায় থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ২৩টি গাড়ি। তিনটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে। দেশে ও বিদেশে থাকা জব্দের আদেশভুক্ত সম্পদের মূল্য প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'দুদক কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সৎ ও দক্ষ, তাদের ওপর এখন প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা মামলা চলছে, তাদের অধিকাংশের দুর্নীতির পরিমাণ বিশাল। ফলে একদিকে কাজের চাপ, অন্যদিকে সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকায় তদন্ত বা অনুসন্ধানের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কাজের ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই নিয়মিতভাবে কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।'