ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যে মানুষটার নাম বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল, তিনি হলেন গায়ক আদনান সামি।
একসময় পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন, তবে বর্তমানে ভারতের স্থায়ী নাগরিক এই তারকা। তবে দেশ পরিবর্তন কিংবা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
যদিও সমস্ত কটাক্ষের সঠিক জবাব দিতেও দেখা যায় আদনানকে।
২০১৫ সাল থেকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন আদনান সামি। আদনান পাকিস্তানের ফিরে না গেলেও পাকিস্তানের কথা উঠলেই বারবার উঠে আসে আদনান প্রসঙ্গ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বলিউড বাবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদনান এই পুরো ব্যাপারটিকে বেশ মজার ছলে ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা যে রোগে আক্রান্ত, সেটি আসলে প্রাক্তন প্রেমিক সিনড্রোম। এই রোগের নিরাময় সম্ভব নয়।’
আদনান বলেন, ‘ধরুন আপনার প্রাক্তন প্রেমিকা রয়েছেন, তিনি জানেন তিনি আপনাকে পাবেন না। আপনাকে না পেলেও আপনাকে অন্য কারও সঙ্গে দেখতে পেলেই তিনি রেগে যাবেন।
আসলে ব্যাপারটা হলো যেহেতু তিনি আপনাকে পাননি, তাই আপনাকে অন্য কারও হতে দেখলে রাগ হয় তার। এটাই হলো ভালোবাসা।’
আদনান আরও বলেন, ‘বহু মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়ত নিজেদের নাগরিকত্ব পরিবর্তন করছেন, কিন্তু বারবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকেই। এই কটাক্ষের কারণ একমাত্র ভালোবাসা। এটাই হলো প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা সিনড্রোম। এর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই তাদের।’
কেন আদনান নিজের নাগরিকত্ব পরিবর্তন করেছিলেন তা নিয়ে এই গায়ক বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর সংগীত পরিবেশনা করার পরেও সেখানকার সরকারের থেকে কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতি পাইনি আমি। সেই সময় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমাকে।’
তবে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ নয়, দেশটির সরকারের ওপর ক্ষোভ আদনানের। এই শিল্পী আরও বলেন, ‘আমার যাবতীয় সমস্যা পাকিস্তানি সরকারকে নিয়ে, তারা আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা নিয়ে। আমার শ্রোতাদের আমি সব সময় ভালোবেসেছি।
একজন শিল্পী হিসেবে যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমি তাদের সকলকে ভালোবাসি।’