মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বড়উঠানে কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত ও আজান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩০

কর্ণফুলী উপজেলা বড়উঠান ‌‘মৌলভী বাড়ীতে ‌সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র’ ব্যবস্থাপনায় অষ্টম বারের মতো পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে শুক্রবার (২৯ মার্চ) কোরআন তেলাওয়াত, হামদ্-নাত ও আজান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র চেয়ারম্যান, ‘সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র’ সভাপতিত্বে ও মিনহাজ উদ্দিন খানের পরিচালনায় গোল্ডেন ইস্পাত সৌজন্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শাহমীরপুর ফয়জুল বারী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, বিশেষ অতিথি কর্ণফুলি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশন’র সচিব মো. রেজাউল হক খান, ইউপি মেম্বার সাজ্জাদ হোসেন খান সুমন, মো. মিজানুল হক খান, রকিউল হাসান খান সামি, লিয়াকত হোসেন খান খোকন, ব্যাংকার এহতেশামুল হক খান, কলিমুল্লা খান, বদরুদ্দিন খান, মো. জহির উদ্দিন টিপু, মো. সোহেল, জিহান, রাকিব, অসিউর রহমান, করিম, শাব্বির।

প্রধান অতিথি বলেন, রমজানের শিক্ষা নিয়ে মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্টীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের পরিচালিত করলে সমাজ থেকে সকল দুর্নীতি জুলুম অন্যায় সকল মন্দ কাজের অবসন ঘটবে। মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র ও এলাকাবাসী ঐতিহাসিক দেয়াং পাহাড়ে আউলিয়াদের নিদর্শন বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলীর স্থানটি সংরক্ষণ, মাইজভান্ডারী আধ্যাত্মিক রিসার্চ সেন্টার ও এই পবিত্র স্থানটি উম্মুক্ত করার দাবির প্রতি সমর্থন জানান। রমজান মাসে আল্লাহতা’য়ালা কোরআন নাযিল করেছেন। আল কোরআনের একনিষ্ট অনুসরণ, অনুকরণ ও রাসুল করিম (স.) প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মাধমে বিক্ষপ্ত অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি আসবেই। ফাউন্ডেশন’র এই ধরনের ধর্মীয় প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন। তিনি বড়উঠানে একটি হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমি এবং আমার পরিবার মানবেতর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। রমজানে একসাথে ইফতার ধনী-গরীব এর মাঝে ভ্রাত্বত্বের বন্ধন, ভুলবুঝা বুঝি অধিকতর সুদৃঢ় হয়। তিনি গোল্ডেন ইস্পাত সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। সামাজিক দায়বদ্ধতায় গরীব ও অসহায় মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বড়উঠানে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে হাসপাতালের জন্য একটি জায়গায় ক্রয় করা হয়েছে। সততা, ত্যাগ, সংযম মানবিকতা যদি থাকে, তাহলে যে কোন কঠিনকাজ সহজে হবে বলে মন্তব্য করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি যেকোন প্রতিযোগিতা মুলক অনুষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ করার জন্য আহবান জানান।

মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নিয়নমুলক কাজের কথা উল্লেখ করেন এবং ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র মহান উদ্যোগ ও মহৎ উদ্দেশ্য প্রশংসা করেন। সম্মানিত বিচারক হিসাবে প্রতিযোগিতার দায়িত্ব পালন করেন বড়উঠান মৌলভী বাড়ী ওয়াইজ বিবি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সরওয়ার আলম আলক্বাদেরী ছাহেব, মাওলানা মুহাম্মদ মনছুরুলহক খান, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ ইছাক, হাফেজ মুহাম্মদ মোরশেদ ও হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।

সম্মানিত বিচারকদের সার্বিক তত্ববধানে ছিলেন বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান, চেয়ারম্যান ‘সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’। কোরআন তেলাওয়াতে ১ম স্থান মুহাম্মদ হজ্জাতুল্লাহিল গালিব বায়েজিদ, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ২য় স্থান মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলম, ফয়জুল বারী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, কর্ণফুলী। ৩য় স্থান মোহাম্মদ হাসান, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। হামদ্-নাতে ১ম স্থান মোহাম্মদ হজ্জাতুল্লাহিল গালিব বায়েজিদ, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ২য় স্থান মোহাম্মদ সাজ্জাদ, হযরত মামুন খলিফা হাফেজী মাদ্রাসা, চন্দনাইশ। ৩য় স্থান হাবীবুর রহমান তৈয়বিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, বহদ্দার হাট। আযান-এ ১ম স্থান আহাদ আলম চৌধুরী, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ২য় স্থান আরমান হোসেন, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ৩য় স্থান মোহাম্মদ শেখ আলিফ মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, ষোলশহর। এবার মোট ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে কোরআন তেলাওয়াতে- ৩৫জন, হামদ্-নাতে- ৩২ জন, আযান-এ- ৩১ জনসহ মোট ৯৮ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পুরস্কার বিতরণ শেষে ইফতার মাহফিলে সকল মানব জাতির মঙ্গল এবং কল্যানের জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে