শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনটি হত্যা মামলায় জড়ালেন আশিয়ানের নজরুল, তদবীর  করতে বিএনপি নেতাদের কাছে

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩১
আপডেট  : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩৩
ছবি : যায়যায়দিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে তিনটি হত্যা মামলায় আসামী হয়েছেন আশিয়ান সিটির এমডি নজরুল ইসলাম ভুইয়া।

নিহত হওয়া পরিবারের পক্ষে গত ২১ আগস্ট মাছুমা, বিলাল ও আবুবকর বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

এজহারে আসামি হিসেবে অন্যদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমিন্ত্রী জুনাইদ আহদের পলক, তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন ও একেএম রহমতুউল্যাহর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ্কটি মামলার বাদি মোছাঃ মাছুমা এজাহারে বলেন, গত ১৯ জুলাই ১২টার আমার ছেলে তার কর্মস্থলে উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাহির হন। উক্ত সময় উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশের প্রগতি স্বরণী রাস্তায় বৈষম্য ছাত্র জনতার কোটা বিরোধী মিছিল হইতেছিল। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় আমার ছেলে প্রথমে আহত হয় ও পরে মৃত্যু বরন করে।

আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে দেরি এবং থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে এজহারে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলা থেকে নাম কাটাতে নজরুল মহানগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতার দ্বারস্থ হলেও কোন কাজ হয়নি। নজরুলকে সই নেতা পরিস্কার জানিয়ে দেন, সাহারা খাতুন থেকে শুরু করে ২০০৮ থেকে ঢাকা ১৮ আসনে যত জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন করেছেন তারা অর্থায়ন করেছেন, বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ করতেও অর্থায়ন করেছেন। এখন আপনার পক্ষে তদবীর করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

তবে মহানগরের আরেক নেতা নজরুলের নাম কাটানোর জন্য থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করেছিলেন। ওই কর্মকর্তা পরিষ্কার জানিয়ে দেন থানায় এখন থেকে কোন সুপারিশে বা ঘুসষসহ কোন ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে কোন অনৈতিক সুবিধা নেওয়া যাবেনা।

পরে বিষয়টি বিএনপির উচ্চ পর্যায়ে জানাজানি হলে তদবীর করা ওই বিএনপি নেতাকে নজরুলের আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়াভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি জানার পরেও তদবীর করার জন্য ভৎসনা করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, হত্যাকারীদের পক্ষে পরবর্তীতে কোন তদবীর করলে সাংগঠনিক ব্যস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে