মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই ছবি আঁকার হাতেখড়ি হয় মেহেরুন্নিসার। শখ আর ভালোলাগা থেকে নিজের অবসর সময়টুকু ব্যয় করেন রং তুলির সাথেই।
২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল একাডেমি থেকে ছবি আকার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের সৃজনশীল অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখনো পর্যন্ত সহস্রাধিক ছবি এঁকেছে খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলার রানী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেরুন্নিসা।
আর ছবি একেঁই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছেন এই ক্ষুদে চিত্রশিল্পী।
মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলন ও দিবস, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, ফ্লোক আর্ট, পশু-পাখি, ঐতিহাসিক স্থান, নদী-পাহাড়, প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বিভিন্ন ঋতুতে গ্রাম বাংলার চিরাচরিত দৃশ্য ফুটে ওঠে তার রং তুলিতে।
এছাড়াও দেয়াল চিত্রাংকন ও পেইন্টিংয়েও বেশ পারদর্শিতা রয়েছে মেহেরুন্নিসার। এরই মধ্যে তার আঁকা বেশ কিছু ছবি ছাপানো হয়েছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায়। বেশ প্রশংসীত হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট, কিড্স ক্লাব, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে পেয়েছে পুরস্কার, সম্মানা ও সনদপত্র।
এ বিষয়ে মেহেরুন্নিসা বলেন, 'খুব ছোটবেলায় আঁকা ঝুকি করার প্রবল ইচ্ছে থেকেই মা আমাকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করান। সেই থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে ছবি আঁকা শুরু হয়।
এখনো পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি ছবি একেঁছি। যারমধ্যে অনেকগুলো ছবি পত্রিকায় ও ম্যাগাজিনে ছাপানো হয়েছে। সুযোগ পেলে ছবি আঁকার জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাই'।
সন্তানের এমন নিখুঁত চিত্রকর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসা মেহেরুন্নিসার মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু বলেন, 'ছোট্ট বয়স থেকেই ছবি আঁকায় বেশ মনোযোগী ছিল মেহেরুন্নিসার। তাই তাকে আর্ট স্কুলেও ভর্তি করিয়েছিলাম।
তার ইচ্ছে ছবি আঁকার পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়বে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকায় তাঁকে সব ধরনের সাপোর্ট করে আসছি আমরা'।
শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে চিত্রাঙ্কন শিশুদের সৃজনশীলতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হবে বলে মনে করছেন মেহেরুন্নিসার স্কুল শিক্ষকরা।