মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বৈশ্বিক মহামারী চুক্তি: ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন 

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ মে ২০২৫, ১৪:০৮
বৈশ্বিক মহামারী চুক্তি: ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন 
ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলার প্রস্তুতি আরও উন্নত করতে একটি চুক্তির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যরা। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে স্লোভাকিয়া ভোটের আহ্বান জানানোর পর ১২৪টি দেশ চুক্তির পক্ষে জোরালো সমর্থন জানায়; যাকে সম্ভাব্য ‘যুগান্তকারী বৈশ্বিক চুক্তি’ বলে অভিহিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে সন্দেহবাদী স্লোভাকিয়া প্রধানমন্ত্রী চুক্তিটি গ্রহণ করার পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোটের দাবি করেন। কোনো দেশ চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি, কিন্তু রাশিয়া, ইতালি, পোল্যান্ড, ইরান, ইসরায়েল ও স্লোভাকিয়াসহ ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

1

ভোটের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, ‘সারা বিশ্বের সরকারগুলো তাদের দেশ ও আমাদের পরস্পর সংযুক্ত বৈশ্বিক সমাজগুলোকে রোগজীবাণু ও মহামারী সৃষ্টিতে সক্ষম ভাইরাসের হুমকি থেকে আরও সমতাপূর্ণ, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ করে গড়ে তুলছে।’

কোভিড-১৯ মহামারী থেকে হওয়া অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই খসড়া চুক্তিটি মঙ্গলবার জেনিভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে।

এই চুক্তিটিতে ওষুধ বা টিকা এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে কাঠামোগত বৈষম্যকে তুলে ধরে এর সমাধানের কথা বলা হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত চলা কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সংক্রামক জীবাণুর তথ্য ভাগাভাগি করা নিয়ে একটি সংযুক্তির বন্দোবস্ত না করা পর্যন্ত এই চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে না। এটি করতে দুই বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রাষ্ট্রগুলোকে এই চুক্তিটি অনুমোদন করতে হবে।

মতপার্থক্যের মধ্যে দিয়ে তিন বছর ধরে আলোচনার পর চুক্তিটির খসড়া প্রস্তুত হয়। অনেক কূটনীতিক এবং বিশ্লেষক এই চুক্তিটিকে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার একটি ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছেন। এটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক তহবিলে কাটছাঁটের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতো বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রই ছিল ডব্লিউএইচও এর সবচেয়ে বড় তহবিল দাতা। কিন্তু জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বছরের জন্য তার দেশকে ডব্লিউএইচও থেকে প্রত্যাহার করে নেন।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা চুক্তির আলোচনা থেকে সরে যান। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির আওতায় থাকছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে