ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, ইসরাইল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায় তবে এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা হবে।
জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে আরাকচি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যদি ইহুদিবাদী ইসরায়েল হামলা চালায়, তাতে যুক্তরাষ্ট্রেরও সম্পৃক্ততা থাকবে এবং তারা এর আইনগত দায় বহন করবে।
এর আগে সংবাদমাধ্যম সিএনএন একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র নতুন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে সিএনএন জানিয়েছে, ইসরাইলি নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আইএনজি-এর কমোডিটি কৌশলবিদরা বলেছেন, এই ধরনের উত্তেজনা শুধু ইরানের জ্বালানির যোগানকেই নয়, বরং বৃহত্তর অঞ্চলজুড়ে সরবরাহ ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক-এর তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক ইরান এবং ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলা দেশটি থেকে জ্বালানির প্রবাহ বিঘ্নিত করতে পারে।
এদিকে ফের ইয়েমেন থেকে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ মে) ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি আজ ভোরে মধ্য ইসরাইলে আঘাত হানার আগেই তা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার সময় বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
ইসরাইলে এটা ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।