নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ভোট ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহিন নামের একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (৬ জানুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর কাউয়াপাড়া এলাকাস্থ এশায়েতুছুন্নাহ কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে ১০/১২ জন এশায়েতুছুন্নাহ কওমী মাদ্রাসার কেন্দ্রের গেইটের সামনে এসে তারা ৩/৪ টা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এসময় তারা রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়ারও চেষ্টা করে। কেন্দ্রের মুল ফটক বন্ধ থাকায় তারা ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। কেন্দ্রের ভিতরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছিল। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দৌড়ে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কাশিপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জানে আলম বাদশা জানান, সারা দেশে নির্বাচন নিয়ে উৎসব চলছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ভাইয়ের নির্দেশক্রমে ভোট কেন্দ্র গুলো পাহারা দেয়া হচ্ছে যাতে করে বিএনপি জামাত কোন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা কিংবা চেষ্টা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশনারের নিদর্দেশক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে স্থানীয়রা এক হামলাকারীকে গণপিটুনী দিয়েছে। তাকে উদ্ধার ও আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, রাত ১০টার দিকে একদল যুবক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্রের সামনে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে সকলে পালিয়ে গেলেও একজনকে গণপিটুনী দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেন, মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন। তারাই হামলা প্রতিরোধ করেছে। আগামীকাল উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট উৎসব হবে। যারাই নাশকতার পরিকল্পনা করবে তাদের জনগনই প্রতিরোধ করবে।
যাযাদি/ এস