বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নেত্রকোনা-২, সদর-বারহাট্রা আসনে বইছে ভোটের হাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা
  ১৪ মে ২০২৫, ১৯:৩৩
নেত্রকোনা-২, সদর-বারহাট্রা আসনে বইছে ভোটের হাওয়া
ছবি: যায়যায়দিন

নেত্রকোনা-২, সদর-বারহাট্রা আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা না হলেও এলাকায় বইছে আগাম নির্বাচনী ভোটের হাওয়া। জেলার ৫টি আসনের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন জেলা সদর কেন্দ্রিক এ আসনে আগামী নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে সরব আলোচনা হচ্ছে। সকল রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী জেলা সদর থেকে পরিচালিত হওয়ায় এ আসনটি সকলের কাছেই খুব তাৎপর্যপূর্ণ।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এ আসনে ইতিমধ্যে একক প্রার্থী ঘোষনা করলেও বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। আসনটিতে বিএনপির পক্ষ থেকে কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন এনিয়ে চলছে দলের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিযোগিতা।

1

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী প্রার্থীরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিন নাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ডা. দেলোয়ার হোসেন টিটো। এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী হলেন, সাবেক জেলা আমীর ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক।

জনতা পার্টি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম যুগ্ম মহাসচিব বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও আপীল বিভাগের অ্যাডভোকেট এ.বি.এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রুহী একক প্রার্থী হিসেবে এলাকায় প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী হিসেবে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আশরাফ উদ্দিন খান। মো. আশরাফ উদ্দিন খান ১৯৪৬ সালে নেত্রকোনার চকপাড়াস্থ এক প্রাচীন মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতামহ সমসের খান ছিলেন বর্তমান নেত্রকোনা শহরের এক বিরাট অংশের জমিদার। তিনি শুধু জমিদার ছিলেন না, ছিলেন একজন মানবপ্রেমী জনহিতৈষী। নেত্রকোনা পৌরসভা, নেত্রকোনা মডেল থানা থেকে শুরু করে আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নিউটাউনের বড়পুকুর, বড়বাজার, কোর্ট স্টেশন, বড় স্টেশনের জায়গাসহ অসংখ্য জমি তিনি জনসেবার উদ্দেশ্যে দান করেছেন। জেলা শহরের আধুনিক রূপরেখার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

সমসের খানের দুই পুত্র আজিম খান এবং আশরাফ উদ্দিন খানের পিতা মুজাফর খান দুজনই ছিলেন এলাকার সুপরিচিত দানবীর এবং সমাজসেবক। আশরাফ উদ্দিন খান পড়াশোনা করেন আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি বিদ্যালয় ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজে। কলেজ জীবনেই তিনি ছাত্র ইউনিয়নের বিপুল ভোটে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ক্রীড়াঙ্গনে নেতৃত্ব দেন। তিনি ওই সময়ে জেলার সেরা ফুটবলার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ডাক আসলে মো. আশরাফ উদ্দিন খান সরাসরি ভারতে গমন করে প্রশিক্ষণ নেন এবং জেড ফোর্সের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

কর্ণেল আবু তাহেরের অধীনে ১১ নম্বর সেক্টরে ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে সম্মুখসমওে তিনি নেতৃত্ব দেন। এক অভিযানে এলএমজি দিয়ে একাই ১৯জন পাকিস্থানী সেনাকে জীবিত বন্দি করে দেশের প্রতি নিজের অশেষ সাহস ও দায়বদ্ধতা প্রমান করেন। তিনি নেত্রকোনা মহকুমা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং পরবর্তীতে ইউনিট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮১ সালে নেত্রকোনার প্রথম জেলা পরিষদে উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় সফলভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি দায়িত্বে থাকাকালে জেলা শহরের ডিসি অফিস, জজকোট, এসপি অফিস, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ-মন্দির, বিদ্যুতায়নসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব, গণগ্রস্থাগার, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাইফেলস ক্লাবসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খানের মেধা ও নেতৃত্ব কাজ করেছে। নেত্রকোনায় বিএনপির শিকড় গড়া, বিস্তার ও রক্ষনাবেক্ষণের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান ১৯৯৭ সালে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি, ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে ১৫২৫ ভোটের মধ্যে ১১৬৮ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

২০০৬ সালের বাতিল হওয়া জাতীয় সংসদ এবং ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মো. আশরাফ উদ্দিন খান প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। জেলা বিএনপির দুঃসময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিকের ভুমিকা রেখেছেন তিনি। এজন্য তাকে নেত্রকোনার রাজপথে মাথার রক্ত ঝড়াতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেড়দশকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খানের চকপাড়াস্থ বাসভবন গভীররাতে সবচাইতে বেশী পুলিশী তল্লাশীর শিকারে পরিনত হয়।

তিনি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর জেলা শহরের প্রতিটি পূজামন্ডপসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে রাতজেগে পাহাড়া দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ আসনের বিশাল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মো. আশরাফ উদ্দিন খানের পারিবারিক ভাবে সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নেত্রকোনা সদর এবং বারহাট্রা উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান একডাকে ‘“আশরাফ ভাই” হিসেবে পরিচিত। তিনি জেলা বিএনপির দুঃসময়ের একজন পরীক্ষিত নেতা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী হিসেবে তিনি ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে ১২টি মামলাসহ শহরের আধুনিক সদর হাসপাতাল রোডস্থ বাসভবনে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিগত সময়ে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিভাগীয় কর্মসূচীতে ডা. মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দলের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আন্দোলন কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়নে ছিলেন নেতৃর্ত্বের অগ্রভাবে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের ক্লীন ইমেজ রয়েছে। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে দলের আহত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক সদর ও বারহাট্রা উপজেলায় ঘন ঘন গনসংযোগ করছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি এলাকায় জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগের রোষানলে পড়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হয়েছেন। কেন্দ্রীয় এই নেতার ওপর একাধিকবার হামলাসহ অসংখ্য মামলায় জড়িয়ে তাকে হয়রানি করা হয়। তিনি জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি নেত্রকোনা-বারহাট্রার স্থানীয় রাজনীতিতেও বেশ সরব রয়েছেন। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সভা সমাবেশে তিনি নিয়মিত উপস্থিত হয়ে নেতাকর্মীদের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।

তিনি নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় নেতা কর্মী এবং সাধারন ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য। তিনি কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করে নেতাকর্মীদের নানান দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিন নাহীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নের আন্দোলনে সামনের সাড়িতে নেতৃত্ব দেয়ায় রাজধানীসহ শহরের রাজপথ থেকে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে করাবরণ করেছেন। শহরের মোক্তারপাড়াস্থ বাসভবন সরকার দলীয় মিছিলের প্রতিদিন ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ হামলার শিকারে পরিনত হওয়াসহ তিনি অসংখ্য মামলার আসামী। তিনি এ আসনে বিএনপির একমাত্র নারী প্রার্থী। জেলা শহরের বিগত দেড়দশক রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারনে বিএনপির হয়রানির শিকার নেতাদের মধ্যে ড. আরিফা জেসমিন নাহীন অন্যতম। ব্যাপক হামলা মামলার পরে ও তিনি কোন ধরনের আপোষ করেননি। বিগত সময়ে নেত্রকোনার রাজপথে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচী বাস্তবায়নে তিনি সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেত্রকোনা-বারহাট্রা নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে বার বার কারানির্যাতিত ড. আরিফা জেসমিন নাহীনের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তিনি বিগত কয়েকটি নির্বাচনে এ আসনে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার অসহায় মানুষকে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় তিনি এলাকার অসহায়দের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বমহলে পরিছন্ন ইমেজের অধিকারী সাবেক জেলা বিএনপি নেতা ডা. দেলোয়ার হোসেন টিটো এলাকায় ঘন ঘন যাতায়াত শুরু করেছেন। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দুই উপজেলায় ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান। এনসিপির দুজন প্রার্থীই ছাত্র-জনতার গণঅভূর্থানে নিজেদের জীবন বাজী রেখে নেতৃর্ত্ব প্রদান করেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে অবদান রেখেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান।

তাদের মধ্যে থেকে কে পাবেন মনোনয়ন এনিয়েও এলাকায় আলোচনার কোন কমতি নেই। বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে এনসিপি নেতারা দিন দিন ভোটারদের কাছে নিজেদের তুলে ধরছেন।

এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক জেলা আমীর ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক, জনতা পার্টি বাংলাদেশের একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম যুগ্ম মহাসচিব বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও আপীল বিভাগের অ্যাডভোকেট এ.বি.এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের একক প্রার্থী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রুহী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে