উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘সমালোচনা গণতান্ত্রিক অধিকার—কিন্তু শারীরিক লাঞ্ছনা বর্বরতা এবং সেটির কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা নেই’। বুধবার (১৪ মে) সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে মাহফুজ আলম সমস্যা সমাধানে গিয়েছিলেন, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
এ কথা স্পষ্টভাবে মনে রাখা প্রয়োজন—আপনাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি বলেই তিনি আপনাদের কাছে এসেছেন।
কিন্তু এ ধরনের উগ্র ও হঠকারী আচরণ ভবিষ্যতে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘মাহফুজ আলম আইনি পথে হাঁটবে কি না জানি না, তবে আন্দোলনের নেতৃত্বের উচিত প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করা এবং ভবিষ্যতে এমন ন্যক্কারজনক আচরণ পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।’
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণও সন্দেহজনক।
সকল জনদাবির সম্মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও সেটির বিষয়ে কেন এখনও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সেটিও এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
এর আগে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনমুখী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ।
পরে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেও সড়ক ছেড়ে যাননি তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যমুনায় যান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ একটি দল।
পরে রাতে উপদেষ্টা মাহফুজকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
এ সময় মাহফুজ কথা বলতে গিয়ে আন্দোলনে একটু উস্কানি হয়েছে বললে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তার মাথার ওপরে এসে একটি প্লাস্টিকের বোতল পড়ে।