মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এসব ফাইজলামির শেষ হওয়া উচিত : নজরুল ইসলাম

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ মে ২০২৫, ১৭:০১
এসব ফাইজলামির শেষ হওয়া উচিত : নজরুল ইসলাম
১২ দলীয় জোট আয়োজিত সভা ছবি সংগৃহিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা আওয়ামী পুনর্বাসন করছি বলে আলোচনা হচ্ছে! যেই দলটা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, দলের চেয়ারপারসনকে বিনা কারণে কারাগারে রেখেছে, তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে। ছোট ভাই মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন। বিএনপির মহাসচিবসহ এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি? আর আমরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছি! এটা কী সম্ভব?’

তিনি আরো বলেছেন, ‘এসব ফাইজলামির শেষ হওয়া উচিত। আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সাথে আপস হবে? কেউ করতে গেলেও আমরা বাধা দেবো।’

1

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করণ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দাবিতে’ এ সভার আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছি। এই আন্দোলনে জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ১ হাজার ৭০০’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। জুলাই আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষ খুন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। হাজারো মানুষ আহত ও অঙ্গহানির শিকার হয়েছে। অনেকেই হয়রানি ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও আন্দোলন করেছি। যার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর। শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছেও।’

তিনি আরো বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ এই লড়াইয়ে শরিক হয়েছিল। তবে জনগণের নির্বাচিত সরকার, তথা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সে জন্য কিছু মেরামত প্রয়োজন। ফলে সংস্কারের দাবি ওঠে। অবশ্য যখন কেউ সংস্কার নিয়ে কথা বলেনি, তখন ২০১৬ সালে খালেদা ‘ভিশন-২০৩০‘ ঘোষণা দেন। এরপর ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তারেক রহমান ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেন। যেটি সকল দলের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে ৩১ দফা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার প্রস্তাব করছে সেগুলো আমাদের ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা কখনো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে সেই রূপরেখা বাস্তবায়ন করব, ইনশাআল্লাহ। দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না সেটি আমরাই প্রথম বলেছি। ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার কথা বলেছি। কারণ আমরা চাই রাষ্ট্রটি ভালো চলুক। যাতে কেউ একক ক্ষমতার অধিকারী এবং জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই। তবে সেটি অবশ্যই প্রয়োজন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী হতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য পরবর্তী সংসদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঐকমত্য কমিশনে আমরা যারা ঐকমত্য পোষণ করেছি সেটার একটা তালিকা করে সনদ করা হোক। তাহলেই তো সমস্যা থাকার কথা না।’

বিএনপির এই নেত বলেন, সেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধা কেনো? নির্বাচন দেরি কেন হবে তার ব্যাখ্যা তো আপনাদেরকে দিতে হবে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার চাই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে