জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল এবং সরকারে থাকা অনেকেই স্বীকার করেন যে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে। জুনে নির্বাচন হলে দেরি হবে। এতে পলাতক স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র বাড়বে এবং কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে।
আজ রোববার (১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)
অন্তর্বর্তী সরকারকেও একসময় বিদায় নিতে হবে উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। এ থেকে বিলম্ব হলে এমন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়বেন যে কখন নির্বাচন হয়, তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি-মার্চ রোজা ও ঈদে চলে যাবে। এপ্রিল-মে মাসে পাবলিক পরীক্ষা এবং জুনে বর্ষাকাল। তাই নির্বাচন ডিসেম্বরেই সম্ভব। সরকার যেদিন মনে করুক, তারিখ ঘোষণা করুক।’
জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যে বিএনপি হতাশ হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসকে আমরা সবাই সম্মান করি। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে বললেন- শুধু বিএনপি নাকি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না। তার এ বক্তব্যে আমরা মর্মাহত হয়েছি। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। ৫৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে।’
বিএসপিপির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এমন জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতারা বক্তৃতা করেন।