বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটে ১৪ জন নিহত

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ জুন ২০২৩, ০৮:৩৫
আপডেট  : ০৭ জুন ২০২৩, ১৪:৩৮

বুধবার সাত সকালে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়ারা।

জানা যায়, সিলেটের নজিরবাজারে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার ও আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস। তিনি বলেন, খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহার (পিপিএম) নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হন। তারপর উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের আহাজারিতে সিলেট ওসমানী মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাঙ্গণ ভারী হয়ে উঠেছে।

বুধবার (৭ জুন) সকাল ভোর ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা এসব তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর ৩ জন মারা যান।

নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।

সিলেট ওসমানী মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত দুলাল মিয়ার স্বজন মানিক মিয়া। তিনি জানান, তিনি নিজেও নির্মাণ শ্রমিক, তবে অন‌্য কাজ থাকায় তিনি ওদের সঙ্গে কাজে যাননি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে