এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ ও ভারত দল নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। ভারতের সমালোচনাটা তিন এবং চার নম্বর পজিশন নিয়ে। অন্যদিকে টাইগারদের চিন্তার কারণ ৭ নম্বর পজিশন। এই পজিশনে মাহমুদউল্লাহর নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত উপেক্ষিত থেকেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে এই পজিশনে ব্যাটিং করা অন্য সবার সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ফাঁরাকটা বিস্তর।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে না থেকেও যেন আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কারণ সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে তার নামটাই। আপাতত এটুকু নিশ্চিত, এশিয়া কাপে খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই সাইলেন্ট কিলারের। তবে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি তার। আর সে আশাতেই যোগ দিয়েছেন ব্যাকআপ ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে মাহমুদউল্লাহকে না রাখায় ৭ নম্বর পজিশন নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। বিসিবির ভাবনায় এই জায়গায় আছেন শামীম পাটোয়ারী ও আফিফ হোসেন। মাহমুদউল্লাহকে ব্যাকআপ ক্যাম্পে রাখাটা বিসিবির স্মার্ট পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই দেখছেন অনেকে। এশিয়া কাপে শামীম-আফিফরা সফল না হলে নিশ্চিতভাবেই নিউজিল্যান্ড সিরিজে থাকবেন সাবেক টি২০ অধিনায়ক। আর সেখানে ভালো খেললেই হয়তো পেয়ে যেতে পারেন বিশ্বকাপ টিকিট।
যে ৭ নম্বর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে এত কথা হচ্ছে সেখানে সম্প্রতি খেলার সুযোগই পাননি মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। আর সেখানে তার পরিসংখ্যানও বেশ সন্তোষজনক।
জাতীয় দলের হয়ে ৭ নম্বর পজিশনে ৭১ ইনিংসে ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৪.৭১ গড়ে করেছেন প্রায় ১৬শ’ রান। নামের পাশে আছে ৮ ফিফটি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এই পজিশনে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা বা রান করার নজির নেই আর কারও।
এবার দেখা যাক, মাহমুদউল্লাহর পর এই জায়গায় কার পরিসংখ্যান কেমন। গত সাড়ে চার বছরে এই পজিশনে পৃথক ৯ জন ব্যাট করেছেন। রিয়াদের পর এই পজিশনে রান তোলায় সবচেয়ে সফল আফিফ হোসেন। ১৭ ইনিংসে করেছেন ৩৭৬ রান। মাত্র ৮ ইনিংস এই জায়গায় ব্যাটিং করলেও স্ট্রাইক রেট কিংবা গড়ে আফিফের চেয়ে এগিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অথচ এক সময়ে ভবিষ্যতের কান্ডারি ভাবা এই অলরাউন্ডার নেই নির্বাচকদের ভাবনায়। এই দু’জন ছাড়া বাকিদের সফল বলা যাবে না কোনোভাবেই।
এবার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে এই ৯ জনের তুলনা করা যাক। স্ট্রাইক রেটে অন্যরা এগিয়ে থাকলেও গড়ের পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো। তালিকায় নাম না থাকা শামীম পাটোয়ারির এখনো ওয়ানডে অভিষেকই হয়নি। আর বড় ইভেন্টে অভিজ্ঞতার দাম যে কতটুকু সেটার অজস্র প্রমাণ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দুর্বলতা শুধু একটা জায়গাতেই, সেটা ফিল্ডিং। সদ্য নিযুক্ত অধিনায়ক সাকিব দেশে ফিরে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। এশিয়া কাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজে না দিলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপে দলে ফিরছেন সাইলেন্ট কিলার, এটা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
যাযাদি/ এসএম