আর সেই ম্যাচ দেখে কোচ নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি ফুটবলের এক্সপার্ট না। এটা বাফুফের কাঠামোগত বিষয়। এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কোচের বিষয়ে বাফুফেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
জুলাই বিপ্লবের পর ক্রীড়াঙ্গনেও ব্যাপক রদবদল হয়েছে। শ্যুটিং, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়া প্রায় সকল ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে গঠিত হয়েছে অ্যাডহক কমিটি। ক্রীড়াঙ্গনে কাঠামোয় নীতিগত সংস্কার এখনও হয়নি।
ঘুড়ি, প্যারা আরচ্যারি ও খিউকুশিন কারাতে এই অ্যাসোসিয়েশনকে কান্ট্রি গেমস, আরচ্যারি ফেডারেশন ও কারাতে ফেডারেশনের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে অতি সম্প্রতি।
গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে এটাই মূলত দৃশ্যমান কাঠামোগত সংস্কার। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে বলেন, ‘আমাদের সার্চ কমিটি ফেডারেশন পুনর্গঠনে কাজ করেছে। এখন আমরা একটু ভিন্ন ফরম্যাট ও কাঠামোগত সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি এই সপ্তাহের মধ্যে হবে। এরপর প্রতিবেদন দেবে এক মাসের মধ্যে।’
গত বছরের ২৯ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা ও বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন পেশের বিষয়টি কার্যপরিধিতে ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য সার্চ কমিটির ওপর ফেডারেশনগুলোর অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব বর্তায়।
সার্চ কমিটি ফেডারেশনের কমিটি গঠনের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারেরও কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। তাই এক মাসের মধ্যেই প্রতিবেদনের প্রত্যাশা উপদেষ্টার। মাঝে শোনা গিয়েছিল গঠনতন্ত্র কিংবা ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠিত হবে। তবে আজ উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন এটি কমিটির নামের আকারেই হবে। শীর্ষ ফেডারেশনের মধ্যে শুধু শ্যুটিং ফেডারেশনই গঠন হয়নি। সেটাও দ্রুত প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।