ক্লাব বিশ্বকাপে এতদিন ইউরোপের দলগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। কিন্তু এবারের ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজনটা একটু ভিন্ন। ৩২ দলের এই টুর্নামেন্টে এক মহাদেশ থেকে বেশ কযেকটি দল অংশ নিচ্ছে। যেখানে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকে এবার চাপে রেখেছে দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলো। বিশেষ করে দুর্দান্ত ছন্দে আছে ব্রাজিলের ৪টি দল।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এসেছে ৬টি দল। ৪টি ব্রাজিলের, ২টি আর্জেন্টিনার ক্লাব। এখন পর্যন্ত এই ছয়টি দল ম্যাচ খেলেছে ১২টি। শুধু আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্স একটি ম্যাচে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে।
ব্রাজিলের চারটি ক্লাব এই মুহূর্তে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে আছে এবং এখন পর্যন্ত প্রত্যেকে অপরাজিত। ‘এ’ গ্রুপে শীর্ষে পালমেইরাস, ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষে বোতাফোগো, ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষে ফ্ল্যামেঙ্গো ও ‘এফ’ গ্রুপে ফ্লুমিনেন্স।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো তো রীতিমতো চমকে দিয়েছে ইউরোপের দলগুলোকে। পরপর দুদিন ইউরোপের দুই জায়ান্টকে হারিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ১-০ গোলে হারিয়েছে লাতিন ফুটবলের (কোপা লিবার্তাদোরেস) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো। ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসিকে।
লাতিন ক্লাবের এমন ছন্দ নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমি দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর বিপক্ষে খেলা দেখতে পছন্দ করি। কীভাবে তারা চ্যালেঞ্জ জানায় এবং সেটি দারুণভাবে সম্পন্নও করে। বোকা জুনিয়র্সের খেলা দেখেছি। তারা যেভাবে প্রতিটি বলের জন্য ছোটে, আমি অবাক। দুয়েকটি ছাড়া প্রতিটি ম্যাচই কঠিন হয়ে উঠছে। মানুষ বলাবলি করছে, কী আশ্চর্য ব্যাপার, ইউরোপের দল হারছে। আমি বলব সত্যিকারের ফুটবল দুনিয়ায় স্বাগত।’