কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন ব্যাটসম্যানরা। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলেছিল সফরকারীরা।
কিন্তু এরপর সব এলোমেলো হয়ে যায়। বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। এমন অবস্থার কারণ জানালেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম, পাশাপাশি দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য দিলেন নতুন বার্তা।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তানজিদ। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রথম ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কী ছিল? তামিম বলেন, ‘দেখেন আমরা অনেক ভালো একটা পার্টনারশিপ করছিলাম।
কিন্তু ওরা ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছে এবং ভালো একটা রান আউট করেছে। আমার কাছে মনে হয় এটা অনেকটা টার্নিং পয়েন্ট। কারণ, আমরা যদি আরও ৩০ বা ৪০ রানের পার্টনারশিপ করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা অনেক সহজ হয়ে যেত।’
প্রথম ম্যাচে মাত্র এক উইকেট ১০০ রান তোলার পরে হঠাৎ ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের। এরপর মাত্র ৫ রান তুলতেই হারিয়েছে ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটারদের প্রতি একটি ম্যাসেজও দিয়ে রাখলেন তামিম।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ১০২ রানের মধ্যে ৬২ রানই তার ছিল। তাতে কোনো লাভ হয়নি। কেননা একটা সময় ৫ রানে ৭ উইকেট হারায় ৭৭ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ইনিংস সাজাতে কলম্বোতে দীর্ঘ সময় কাটানোয় বাকিদের থেকে কিছুটা হলেও উইকেটের চরিত্র বুঝতে পেরেছেন তানজিদ তামিম,‘ এখানকার উইকেট নতুন ব্যাটারদের জন্য ডিফিকাল্ট থাকে।
তাই একটাই ম্যাসেজ থাকবে সবার প্রতি, যারা নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যাবে, তাদের উচিত সময় নিয়ে ব্যাট করা। এবং যারা উইকেটে সেট থাকবে, তাদের শেষ পর্যন্ত খেলার চেষ্টা করতে হবে। আর যারা সেট থাকবে, তাদের শেষ পর্যন্ত খেলার চেষ্টা করতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের পেছনে বড় একটি কারণ ছিল লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনি একাই চার উইকেট নিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে হাসারাঙ্গাকে মোকাবিলা করার উপায় বাতলে দিলেন টাইগার এই ওপেনার।
তামিম বলেন, ‘হাসারাঙ্গার বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা যারা থাকবে তাদের বেশি খেলা উচিত। কারণ ও (হাসারাঙ্গা) বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য ততটা কার্যকর না, যতটা ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য কার্যকর।’
প্রথম ওয়ানডেতে হারার পেছনে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটিটা আরেকটু বড় না হওয়ার আফসোসও ঝড়েছে তানজিদ তামিমের কণ্ঠে।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আর-শান্ত ভাই সেট ছিলাম, আমরা যদি আরেকটু থাকতে পারতাম, অন্তত আরো ৫-১০ ওভার থাকতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা অনেক ভালোভাবে বের হয়ে আসত। পরের ব্যাটারদের কাজও অনেক সহজ হয়ে যেত। আমরা কিছুটা দুর্ভাগা।
ভালো একটা রান আউট করেছে ওরা, ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছে। এটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। সেখান থেকেও যদি অন্তত দুটি ৩০-৪০ রানের জুটিও গড়তে পারতাম, ম্যাচটা সহজ হয়ে যেত।’