নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে প্রথমে বাহরাইন, তারপর মিয়ানমারকে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে বাংলাদেশের নারী দল প্রথমবার মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
তুর্কমেনিস্তান-বাহরাইন ম্যাচ ড্রয়ের পর বাংলাদেশ দলের কারো জানা ছিল না যে, নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের বৈতরণী পেরিয়ে মূল পর্বে উঠে গেছেন তারা। খবরটি জানার পর অবিশ্বাস্য আর অকল্পনীয় আনন্দের দোলাচলে দুলছিল বাংরাদেশের মেয়েরা। ঋতুপর্ণা চাকমা বললেন, অভাবনীয় প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভাষা জানা নেই তারও।
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি জানাতে গিয়ে ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করতে পারবো না। আমরা যখন জানতে পারি যে আমরা কোয়ালিফাই করেছি, এটা আসলে কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা বহু বছর পর এত কষ্ট করে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন।’
দুটি জয়ে মূল পর্বে উঠলেও চূড়ান্ত উদযাপন শেষ ম্যাচের পর করতে চান তিনি, ‘আমরা এখনও উদযাপন করিনি। আরেকটা ম্যাচ আছে। তারপর উদযাপন করার পরিকল্পনা আছে।’
দ্বিতীয় গোলের পর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ঋতুপর্ণা। এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘কী বলবো, এই অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারবো না। দ্বিতীয় গোল করার পরে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম।’
দেশবাসীর কাছে সমর্থন চেয়ে তিনি বললেন, ‘যেভাবে আমাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন, আগামীতে আমাদের সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাপোর্টে আমরা ভালো রেজাল্ট করবো এবং বাংলাদেশ দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।’
দলের লক্ষ্য নিয়ে ঋতুপর্ণার কথা, ‘আমরা দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন। এবারে এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল ধীরে ধীরে এশিয়ান কাপে খেলার এবং বাংলাদেশকে ভালো একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। সেটাই আমরা ধীরে ধীরে করছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল এশিয়ান কাপে খেলার। আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি, এটাই লক্ষ্য ছিল।’
কোচের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘সব কিছু মিলিয়ে ভালো। আমরা একজন ভালো কোচ পেয়েছি। উনি সবসময় আমাদের ভালো চান। উনি আমার যে প্রশংসা করেছেন, জানি না আমার এটা কতটুকু প্রাপ্য।’