আজকের যায়যায়দিন

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার দাবিতে শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ ইসরাইলিরা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তেল আবিবের প্রাণকেন্দ্র কাপলান স্কোয়ারে হাজার হাজার ইসরাইলি এই বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি জানান বলে শনিবার ইসরাইলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তথ্যসূত্র : আনাদলু নিউজ

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক থাকা বেশিরভাগ বন্দিকেই উদ্ধার করতে পারেনি ইসরাইল। এই পরিস্থিতিতে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবিতে শনিবার তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। এর পাশাপাশি তারা ইসরাইলে এখনই নির্বাচন আয়োজনের দাবিও তুলেছেন।

বিক্ষোভকারীরা গাজায় আটক থাকা কয়েক ডজন ইসরাইলি বন্দির ছবি নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন এবং 'এখনই নির্বাচন' বলে সেস্নাগান দেন। একই সময়ে প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর সংলগ্ন বিগিন স্ট্রিট বন্ধ করে দেন। এ সময় তারা '১৬৯' লেখা একটি ব্যানার সামনে তুলে ধরেন, যা চলমান যুদ্ধের দিনগুলোর সংখ্যা নির্দেশ করে। ধারণা করা হচ্ছে, নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের গতি পরে আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য এলাকা ও শহরেও ছড়িয়ে পড়বে।

ফিলিস্তিনি সরকারি সূত্র অনুসারে, ইসরাইল তার কারাগারে কমপক্ষে ৯ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনিকে বন্দি করে রেখেছে। অন্যদিকে, গাজায় আটক থাকা ইসরাইলি বন্দির সংখ্যা অস্পষ্ট রয়ে গেছে, কারণ হামাস তাদের সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।

ইসরাইলি আগ্রাসন / রাফাহ নিয়ে দলীয় চাপে বাইডেন

ইসরাইলি মিডিয়া ২৪০ থেকে ২৫৩ বন্দির গাজায় আটক থাকার কথা বলে থাকে। যার মধ্যে তিনজনকে ইসরাইল মুক্ত করেছিল এবং ১০৫ জনকে হামাস গত বছরের নভেম্বরে বন্দি বিনিময় চুক্তির সময় মুক্তি দিয়েছিল। এছাড়া ইসরাইলি হামলার কারণে আরও ৭০ জন বন্দির নিহত হওয়ার কথা বলে থাকে হামাস।