ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহর পশ্চিম অংশের গভীরে যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের ছত্রছায়ায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার এসব ঘটনা ঘটেছে বলে রাফাহর বাসিন্দা ও ফিলিস্তিনি চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের পর থেকেই রাফাহর পাঁচটি এলাকায় ইসরাইলি ট্যাংকগুলো ঢুকতে শুরু করে। তাদের ছোড়া প্রচুর গোলাগুলি আরও পশ্চিমে উপকূলবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নিয়ে থাকা উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর তাঁবুতে আঘাত হানে। এতে আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার চিকিৎসাকর্মীরা ও হামাসের গণমাধ্যম জানিয়েছে। তবে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি তারা। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা প্রতিবেদনগুলো যাচাই করে দেখছে।
হামলার পর আতঙ্কিত বহু পরিবার আল-মাওয়াসি থেকে গাজার উত্তর দিকে পালিয়ে গেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাফাহর পশ্চিমাংশে বেশ কয়েকটি বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, 'রাফাহতে আরেকটি আতঙ্কের রাত। তারা তাদের দখল ধরে রাখার জন্য বিমান, ড্রোন ও ট্যাংক থেকে পশ্চিম এলাকাগুলোতে গোলাবর্ষণ করেছে। মাওয়াসি এলাকায় ঘুমন্ত মানুষের কাছে গুলি ও গোলা গিয়ে পড়ে আর তাতে বহু হতাহত হয়েছেন।'
গত অক্টোবরে ইসরাইলের বর্বর হামলার মুখে গাজা ২৩ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি রাফাহতে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। গত মাসে মিসরের সীমান্তবর্তী এ শহরটিতে ইসরাইলি বাহিনী হামলা শুরু করার আগ পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিলেন। ইসরাইল রাফাহতে স্থল হামলা শুরু করার পর এদের বেশিরভাগই আবার উত্তরদিকে পালিয়ে গেছেন। এখনো যারা রয়ে গেছেন, তাদের সংখ্যা এক লাখের কম হবে বলে জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাফাহতে সাংবাদিকদের 'ব্রিফ' করার সময় এক ইসরাইলি কমান্ডার জানিয়েছিলেন, রাফাহর আরও দুটি এলাকা, শাবুরা ও তেল আল-সুলতান, হামাসের যোদ্ধাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের সেনাবাহিনীর রেডিওকে গিভাতি ব্রিগেডের প্রধান এই কর্নেল বলেন, সেখানে থাকা হামাসের ব্রিগেডগুলো এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া দরকার।