ইসরাইল ও লেবাননের হিজবুলস্নাহর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। দুই দেশের যুদ্ধের হুমকি একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, এএফপি, টাইমস অব ইসরাইল, সিএনএন
ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, 'এই পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং ভুল পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছেন।' গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, 'একটি তাড়াহুড়া করে নেওয়া পদক্ষেপ বিপর্যয়কে আরও বেসামাল করে তুলতে পারে, যা সীমান্তের বাইরে- সত্যি বলতে কি, কল্পনারও বাইরে চলে যেতে পারে। এই অঞ্চলের জনগণ এবং বিশ্ববাসী লেবাননকে আরেকটি গাজায় পরিণত হতে দিতে পারে না।'
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী 'ইউনিফিল' ও 'ইউএনটিএসও' নামে পরিচিত নিরস্ত্র কারিগরি পর্যবেক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ লেবাননে অবস্থান করছে। এই দলগুলো 'বস্নু লাইন' হিসেবে পরিচিত এবং তারা লেবানন ও ইসরাইলে মধ্যে সীমান্ত বিভেদকারী এলাকা পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, 'জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা উত্তেজনা প্রশমন এবং দুই পক্ষের মধ্যে হিসাবের কোনো গরমিল যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বকে জোরেশোরে ও পরিষ্কার করে বলতে হবে, অতি দ্রম্নত উত্তেজনা নিরসন করা অপরিহার্য এবং এর কোনো সামরিক সমাধান নেই।'
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করছে ইরান-সমর্থিত হিজবুলস্নাহ। জবাবে ইসরাইল বিমান হামলা ও ভারী কামান দিয়ে গোলা ছুড়ছে। সীমান্তে শত শত মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচু্যত হয়েছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত 'লেবাননকে গাজায় পরিণত করার' হুমকি দিয়েছেন। অপরদিকে, হিজবুলস্নাহ নেতা হাসান নাসরুলস্নাহ লেবাননে ইসরাইল বড় ধরনের হামলা চালালে এর জবাবে পাল্টা হামলায় কোনো নিয়ম রক্ষা করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যুদ্ধ বাধলে ইসরাইলকে পূর্ণ
সমর্থন দেবে আমেরিকা
লেবাননের হিজবুলস্নাহর সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ইসরাইলকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক তাজাখি হানেঘবি এবং কৌশলগত সম্পর্ক-বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমান।