গ্রিসের দ্বীপ হাইড্রায় একটি দাবানল কান্ডের পর ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, একটি ইয়ট থেকে ছোড়া আতশবাজির কারণে ওই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে হাইড্রা দ্বীপের একমাত্র পাইন বনটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও দাবানলটি দমকল কর্মীদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল। কারণ, ওই বনের দিকে যাওয়ার মতো কোনো সড়ক নেই, ফলে দমকল কর্মীদের সাগরের মধ্য দিয়ে সেখানে যেতে হয় আর পানি ফেলার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয়।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে সারোনিক উপসাগরের দ্বীপ হাইড্রা বিদেশি পর্যটক ও ইয়ট ভ্রমণকারীদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য।
হাইড্রার দমকল বাহিনী ফেসবুকে বলেছে, একটি ইয়ট থেকে ছোড়া আতশবাজির কারণে দাবানলটির সূত্রপাত হয় আর এটি দ্বীপের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত একমাত্র পাইন বনটিকে জ্বালিয়ে দিয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে গ্রিসের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই দাবানলের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ১৩ গ্রিক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম তাপদাহের মধ্যেই গ্রিসের বেশ কয়েকটি এলাকায় দাবানল শুরু হয়েছে। দাবানলে পেলোপনিস উপদ্বীপের ইলিয়া অঞ্চলে শুক্রবার ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে আতশবাজি থেকে আরেকটি দাবানলের ঘটনায় গ্রিসজুড়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স