আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি ছোড়েন এক হামলাকারী। প্রাণঘাতী ওই হামলা থেকে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। তার ডান কানে আঘাত করে বেরিয়ে যায় গুলি। কিন্তু সত্যিই কি বুলেট আঘাত করেছিল ট্রাম্পকে? না, এটি কোনো ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নয়। খোদ এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন। তথ্যসূত্র : ইনডিপেন্ডেন্ট
গত বুধবার ক্রিস্টোফার রে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে গুলির ঘটনা নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেখানেই এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ঠিক কী নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ক্রিস্টোফার রে? তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, প্রশ্ন উঠছে তার কানে কি বুলেট লেগেছিল? নাকি কোনো ধারালো বস্তুর আঘাতে আহত হন তিনি? এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না বুলেটটা কোথায় গিয়ে পড়েছিল?'
গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় নির্বাচনী জনসভায় হামলার শিকার হন ট্রাম্প। দলীয় কর্মীর ছোড়া গুলি তার কানে আঘাত করে বেরিয়ে যায়। সাক্ষাৎ মৃতু্যর মুখ থেকে ফিরেছেন তিনি। হামলাকারী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকসকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ক্রুকসের গুলিতে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে, হামলাকারী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ট্রাম্পকে গুলি করার আগে ১৯৬৩ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার খুঁটিনাটি তথ্য অনলাইনে খুঁজেছিলেন বলেও জানান ক্রিস্টোফার রে। ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার এক সপ্তাহ আগে ক্রুকস গুগলে এই তথ্য খোঁজেন জানিয়ে ক্রিস্টোফার রে বলেন, ১৯৬৩ সালে জন এফ কেনেডিকে হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ড তার (কেনেডি) থেকে কতটা দূরে ছিলেন, অনলাইনে সেটিই সার্চ করেন ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা বন্দুকধারী।
ক্রিস্টোফার রে বলেন, গোয়েন্দারা ক্রুকসের সেলফোনসহ কিছু বৈদু্যতিক ডিভাইস হাতে পেয়েছে। তবে সেগুলো খতিয়ে দেখে ট্রাম্পের ওপর তার হামলার উদ্দেশ্য কী ছিল, সে সম্পর্কে কোনো ক্লু এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সমাবেশে ক্রুকস ৮টি গুলি করেছিলেন। ক্রুকস যে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালিয়েছিলেন, সেখানে ৮টি কার্তুজ পেয়েছেন কর্মকর্তারা।