দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া মধ্যবর্তী পালস্নার বলে মনে হওয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আর সেটি ১১০০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে উড়ে গিয়ে সাগরে পড়েছে। সোমবার এর কয়েক ঘণ্টা পর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নকেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "সিউলে আমার সফরের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হলো। আজকের এই উৎক্ষেপণ আমাদের সবাইকে শুধু মনে করিয়ে দিচ্ছে আমাদের সহযোগিতামূলক কাজ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।"
তিনি বলেন, বেপরোয়া উত্তর কোরিয়াকে বাধা দিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা আরও গভীর করে তোলা দরকার, এ পরীক্ষা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তথ্য শেয়ার করা ও ত্রিপক্ষীয় সামরিক মহড়া আয়োজনের প্রয়োজনীয় তুলে ধরেছে। উত্তর কোরিয়া স্থানীয় সময় দুপুর প্রায় ১২টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে।
ৎবিস্নঙ্কেন সতকর্ করে বলেন, পিয়ংইয়ং মস্কোর সঙ্গে মিত্রতা গভীর করে তুলছে। ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে ইউক্রেইনের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সমর্থন পাওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া তাদের সঙ্গে মহাকাশ ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি শেয়ার করতে চায়। ইউক্রেইনের যুদ্ধে এরইমধ্যে উত্তর কোরিয়ার ১০০০ সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া অন্তত সাতটি স্বল্প পালস্নার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পরীক্ষা চালিয়েছিল। তারপর থেকে দুই মাস বিরতি দিয়ে দেশটি সোমবার আবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো।
তবে এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি কোন ধরনের ছিল তা পরিষ্কার হয়নি।